ময়নাগুড়ি ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রকাশ্যে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রকাশ্যে আসা এক অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, ট্রেনের নীচে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যাচ্ছে বলে লোকো পাইলট (চালক)-কে ফোনে জানাচ্ছেন নিউ দোমোহনির স্টেশন মাস্টার। তবে এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা সম্পর্কে কিছু জানায়নি রেল꧟।
গত ১৩ জানুয়ারি বিকেল ৪.৫৫ মিনিটে জলপাইগুড়ির নিউ দোমোহনি ও নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনের মাঝে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৯ জনের। তদন্তে উঠে আসে প্রবল গতিতে থাকা গুয়াহাটিগামী বিকানের এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের ট্র্যাকশন মোটর খুলে পড়ে এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় বেলাইন হয় ট্রেনটির ১২টি কামরা। তার মধ্যে ২টি কামরা একে অপরের ওপ🌠রে উঠে যায়। ঘটনায় আহত হন ৪০ জন। মৃত্যু হয় ৯ জনের। দুর্ঘটনার পরদিন ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর পর রেলের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে♛ বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন তিনি। তদন্তে জানা যায়, নির্দিষ্ট দিনে ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা না করিয়েই সেটিকে যাত্রী পরিবহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
ওদিকে প্রকাশ্যে আসা অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, নিউ দোমোহনি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার বিকানের এক্স🎉প্রেসের লোকো পাইলটকে বলছেন যে, তাঁর ইঞ্জিনের তলা থেকে স্ফুলিঙ্গ দেখা যাচ্ছে। জবাবে লোকো পাইলট বলছেন, হয়তো জোরে ব্রেক কষায় আগুনের ফ্লুলিঙ্গ দেখা গিয়েছে। তবে ট্রেন থামানো প্রয়োজন বলে মত পোষণ করℱেননি কেউই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলন্ত ট্রেনের নীচে স্ফুলিঙ্গ দেখা যাওয়া কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ব্রেকের সঙ্গে চাকার ঘর্ষণে মাঝেমাঝেই স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। রাতে আরও স্পষ্ট দেখা যায় স্ফুলিঙ্গগুলি। ময়নাগুড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছিল সন্ধে বেলা। তখন আলো অনেকটাই কমে এসেছে। ফলে ট্রেনের নীচে স্ফূলিঙ্গ দেখতে পাওয়ার খবরে বিশেষ গুর🦂ুত্ব দেননি লোকো পাইলট। তাছাড়া চলন্ত ইঞ্জিনের ট্র্যাকশন মোটর খুলে পড়ার ঘটনা এর আগে ভূভারতে কখনো ঘটেনি। ফলে বিষয়টি অনুমান করা স্টেশন মাস্টার ও লোকো পাইলট ২ জনের পক্ষেই প্রায় অসম্ভব ছিল। তাছাড়া নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ট্রেন থামালে রেলেꦏর আইন মেনে সাসপেন্ড হতে পারতেন স্টেশন মাস্টার।