পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বাঁকুড়ার দু'নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। য🌜দিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বাঁকুড়া সদর থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বাঁকুড়া দু’নাম্বর ব্লকের পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয় বৃহস্পতিবার। পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে বিজেপি পায় ৭টি, তৃণমূল ৭টি, সিপিআইএম ২টি এবং একটি নির্দল প্রার্থীর দখলে গিয়েছে। পরে জয়ী নির্দল প্রার্থী বিজেপিকে সমর্থন করেন। ফলে বিজেপি পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। বৃহস্পতিবার পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করতে গেলে দুপুরে পঞ্চায়েত প্রাঙ্গন এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভꦗিযোগ। যদিও পরে পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে বিজেপি। প্রধান হিসেবে মনোনীত হন মল্লিকা বাউরি এবং উপপ্রধান হিসাবে মনোনীত হন শান্তনু পাল।
এবিষয়ে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুনীল রূদ্র মণ্ডল জানান, পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বিজেপির কার্যকর্তাদের উপর হামলা চ🦹ালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই হামলায় দশ থেকে পনেরো জন বিজেপি কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূল এর দুষ্কৃতীরা এখন প্রশাসন ও পুলিশদের সাহায্যে বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে পঞ্চায়েত দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে সেই ভাবেই পুরন্দরপুর পঞ্চায়েত এর দখলের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিজেপির কর্মীরা শক্ত হাতে তার প্রতিরোধ করেছেন।
অন্যদিকে বাঁকুড়া দু'নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধান সিংহ জানান, তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছেন এই অভিযোগ সত্যি নয়। তাদের নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা চলছিল। নিজেরাই ঝামেলা করে এখন তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনছে। তৃণমূল যদি ঝামেলা করার চেষ্𝄹টা করত তাহলে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের জন্য পঞ্চায়েতের ভিতরে ঢুকতে দিত না।