বাসিন্দাদের কাছ থেকে আর বিনামূল্যে বর্জ্য সংগ্রহ করবে না ▨পুরসভা। এবার থেকে বর্জ্য সংগ্রহ বাবদ বাসিন্দাদের দিতে হবে ফি। গত ১ নভেম্বর থেকে বরাহনগর পুরসভা ফি নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে। এ বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল পুরসভা। তবে বেশ কিছু কারণে তা চালু 🐼করা যায়নি।শেষমেষ বুধবার থেকে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নতুন এই ব্যবস্থায় নাগরিকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে বরাহনগর পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। এর ফলে যেমন পুরসভার আয় বাড়বে তেমনি নাগরিকরা এলাকাকে পরিষ্কার রাখতে আবর্জনা যত্রতত্র ফেলবে না বলে মনে করছে পুরসভা।
আরও পড়ুন: বেলগাছিয়া ভাগাড়ে জঞ্জাল পরিষ্কার করতে তৈরি করা হবে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পার💃্ক
পুরসভা বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মাস খানেক আগে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন ২০১৬ এবং রাজ্য পুর আইন ১৯৯৩ অনুযায়ী, ইউজার্স ফি বা ব্যবহারিক মূল্য নেওয়া হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ হল এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তাতে এই কদিনে বজ্র সংগ্রহ ফি বাবদ পুরসভার আয় হয়েছে ২৮,৪২০ টাকা। এরজন্য পরিবার পিছু মাসে ২০ টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে বরাহনগর পুরসভা এলাকায় ৮৬০৭৬ টি পরিবার রয়েছে। এর ফলে পুরসভার মাসে আয় হবে ১৭২১৫২০ টাকা। সে ক্ষেত্রে নাগরিকরা পুরকর্মীদের হাতেনাতে ফি দিতে পারবেন। তার পরিবর্তে পুরকর্মীরা তাদের রশিদ দেবেন। এর পাশাপাশি অনলাইনেও ফি দিতে পারবেন পুরসভার কর্মীরা। এর জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্যবস্থা অনেক আগেই চালু হয়ে যেত। তꦑবে অনলাইন পোর্টাল তৈরিতে দেরি হওয়ার জন্য এই ব্যবস্থাও চালু হতে দেরি হয়েছে।
পুরসভার কর্তৃপক্ষের মতে, এর ফলে শুধু পুরসভার আয় বাড়বে না, এরফলে নাগরিকরাও সচেতন হবেন। তাদের মনে হবে টাকাই যেখান দ✃িতে হচ্ছে তাহলে যেখানে সেখানে আবর্জনা না ফেলে পুরসভার গাড়িতেই আবর্জনা ফেলতে হবে। তার ফলে যত্রতত্র ময়লা ফেলার প্রবণতা কমবে। এর ফলে শহর পরিষ্কার থাকবে। মূলত যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা আটকাতেই এমন উদ্যোগ কলকাতা বরানগর পুরসভার। পুর কর্তাদের মতে, এরফলে এলাকা যেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে তেমনি দূষণও কমবে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এর আগে উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ করার জন্য নাগরিকদের নিল এবং সবুজ বালতি দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বাড়িতে গাড়ি গিয়ে পুরসভার কর্মীরা বর্জ্য সংগ্রহ করছেন। কিন্তু তারপরেও নাগরিকরা সচেতন হননি। তাই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।