গত ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে হাওড়ার বেলগেছিয়া ভাগাড়ে জমে🌊ছে শহরের যাবতীয় জঞ্জাল। এই অবস্থায় বেলগাছিয়া ভাগাড়ের সমস্ত জঞ্জাল পরিষ্কার করতে উদ্যোগী হয়েছে হাওড়া পুরসভা। সরানোর উদ্যোগ নিল হাওড়া পুরসভা। এর জন্য ভাগাড় এলাকায় একটি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পার্ক তৈরি করা হবে। সোমবার হাওড়া পুরসভা এলাকায় বায়ো মাইনিং প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন রাজ্যের পুর এবং নগর উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সাধারণত হাওড়া পুরসভার কর্মীরা প্🌞রতিদিন সকালে গোটা শহর থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করে তা ফেল🌠ে দেন ওই ভাগাড়ে। পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ মেট্রিক টন জঞ্জাল ফেলা হয়। দীর্ঘদিন প্রচুর পরিমাণে জঞ্জাল জমার ফলে ওই এলাকায় কার্যত তিনটি জঞ্জালের পাহাড় তৈরি হয়েছে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেখানে ১০ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি জঞ্জাল জমে আছে। এর ফলে শহরে বাড়ছে দূষণ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দেরিতে হলেও নড়েচড়ে বসেছে হাওড়া পুরসভা। কেএমডি’র তত্বাবধানে বেলগাছিয়ার জঞ্জালের তিনটি পাহাড়কে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে জঞ্জাল থেকে শক্তি উৎপাদন করা হবে। জানা গিয়েছে, গোটা এলাকাকে একটি ওয়েস্ট ম্যা𓆉নেজমেন্ট পার্ক হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এরজন্য মোট ৭০ কোটি টাকা খরচ হবে।
পুরসভার হিসেব অনুযায়ী এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ৩ বছর। হাওড়া শহরবাসীর জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক প্রকল্প বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, কয়েক বছ𝔍রের মধ্যে এই এলাকার চেহারা বদলে যাবে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘১৯১০ সালে এই ভাগাড় তৈরি হয়েছিল তারপর থেকে প্রতিদিন এখানে জঞ্জাল চলছে। ওখান থেকে ভাগাড় সরিয়ে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওটা একটা মাঠ হয়ে যাবে। জঞ্জালগুলিকে অন্য কাজে লাগানো হবে।’ ঠিক ধাপাতে যেমন হয়েছে এখানে সেই কাজ হবে বলে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকেম জানিয়েছেন। পাশাপাশি তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাওড়া পুরসভার উন্নয়নের খতিয়ান তিনি তুলে ধরেন। জল নিকাশি ব্যবস্থা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ এদিন তিনি তুলে ধরেন। এছাড়া আগামী দিনে কেএমডিএ হাওড়া পুরসভায় অনেক প্রকল্পের কাজে হাত দেবে বলে তিনি এদিন জানান।