অন্যান্যদের মতোই সে অফিসে যেত। লোকে তাই জানত। কিন্তু এই অফিস অন্যান্য মানুষজনের থেকে আলাদা। বাড়ি থেকে টিপটপ পোশাক পরে অফিসে যেতে দেখত সবাই। আদতে এই লোকটি অফিস হচ্ছে অন্যের ফাঁকা বাড়ি। কারণ ওই ব্যক্তির পেশা চুরি করা। কিন্তু একবারের জন্যও টের পাননি প্র⭕তিবেশীরা। এই ব্যক্তিই যে অভিযুক্ত ও দুর্গাপুজোর আগে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছে সেটা কাকপক্ষীতেও টের পায়নি। দাপটের সঙ্গে ফাঁকা বাড়িতে ঢুকত এবং সর্বস্ব চুরি করে নিয়ে যেত। এভাবেই ভাল দিন কাটছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
এদিকে দিনের পর দিন এভাবে ঘরে ঢুকে চুরি করত ও নিজের জীবন আরামেই কাটাত। অনেকে ভাবতেন বোধহয় কোনও বড় অফিসার হবেন। তাই বিশেষ কেউ বাক্যালাপ করতেন না। কিন্তু তার গতিবিধি পরের দিকে সন্দেহজনক লাগতে থাকে। তাই শেষমেশ স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় বিষয়টি জানান। পুলিশ অফিসাররা গোটা বিষয়টি নজরে রেখে হাতেনাতে ওই চোরকে ধরে ফেলে। তার পরে জেরা করলে জানা যায় সে বাংলাদেশি নাগরিক। বারাসতের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেফতার কর𒁏া হয়। আগে থেকে রেইকি করে তারপর সেখানে গিয়ে ফাঁকা বাড়িতে চুরি করত সে।
আরও পড়ুন: ‘উত্সবে থাকব না বলে অনেকেই শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে নেচেছে’, আরজি কর ইস্যুতে সরব বেচারাম
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া এই চোরের নাম মিজানুর তালুকদার। সে আসলে বাংলাদেশি নাগরিক। ফাঁকা বাড়িতে চুরি করত। এটাই পেশা। অক্টোবর মাসে বারাসতের একাধিক বাড়িতে চুরি হয়। সেই প্রত্যেকটি চুরির সঙ্গে যুক্ত মিজানুর। তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। দুর্গাপুজো আগে এই মিজানুর অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে এ🧔পারে ঢোকে। বারাসত হাসপাতালের কাছে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকত। আর ফাঁকা বাড়ি রেইকি করে একের পর এক বাড়িতে চুরি করত। বাড়ির বাসিন্দারা ফিরে এসে যখন দেখেন সর্বস্ব খোয়া গিয়েছে তখন থানায় অভিযোগ জানান।