সিঁদুরদান, মালাবদল করে হোটেলের ঘরে আত্মঘাতী যুগল। ঘটনা বর্ধমানের তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ডের। রবিবার বিকেলে হোটেলের বন্ধ দরজা ভেঙে যুবক – যুবতীর দেহ যখন পুলিশ উদ্ধার করে ꧑তখনও তাদের গলায় ছিল রজনীগন্ধার মালা। যুবতীর সিঁথিতে উজ্জ্বল আনকোরা সিঁদুর। পুলিশ জানিয়েছে নিহতদের নাম মহাদেব মাঝি ও প্রিয়াঙ্কা মিত্র।
তিনকোনিয়া বাস স্ট্যান্ডের ওই হোটেলের মালিক বলেন, শনিবার বিকেলে মহাদেব মাঝি নামে ওই যুবক পরিচয়পত্র ♔জমা দিয়ে হোটেলে ঘর ভাড়া নেন। পরিচয়পত্র অনুসারে তিনি বাঁকুড়ার বাসিন্দা। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ এক মহিলাকে নিয়ে হোটেলের ঘরে ঢোকেন। হোটেলকর্মীদের জানান মহিলা তাঁর বোন। সঙ্গে তিনি বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই হোটেল ছেড়ে চলে যাবেন তাঁরা। কিন্তু বেলা গড়িয়ে বিকেল হলেও ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় হোটেলকর্মীদের। ডাকাডাকি শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। এর পর বর্ধমান থানায় খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ।
বর্ধমান থানার পুলিশকর্মীরা গিয়ে দরজা ভেঙে হোটেলের ঘরে ঢুকে যুগলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। দেহের গলায় তখনও ঝুলছে রজনীগন্ধার মালা। যুবতীর সিঁথিতে পরা সিঁদুর। টেবিলে পড়ে রয়েছে সিঁদুরের পাত্র। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশকর্মীরা জানতে পেরেছেন যুগল বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দা। তবে প্র♏িয়াঙ্কা বর্ধমান শহরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। দুজনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। পরিবার মেনে না নেওয়ায় তাঁরা চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অনুমান। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট।