গরু–কয়লা–শিক্ষা–পুরসভা–রেশন দ📖ুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি–সিবিআই। জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, পলাশীপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। ঘুষ কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্ররও। এই আবহে এꦕবার আত্মশুদ্ধির সুর শোনা গেল ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গলায়। এবার দলের নেতাদের একাংশের অত্যাচার এবং দুর্ব্যবহারের জেরেই যে দলের থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অর্জুন সিং। শ্যামনগরে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
এদিকে এখন কাদের দলে রাখা উচিত, আর কাদের তাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন সেটা নিয়েও প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন অর্জুন সিং। নথিতে বিজেপি সাংসদ হলেও এখন তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন অর্জুন। শুক্রবার শ্যামনগরের সুব্রত পল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী থেকে তাঁর পরামর্শ, ‘যে নেতা বা কর্মীর জন্য দলের অন্যরা প্রশ্নের মুখে পড়ছেন, সেই নেতা–কর্মীকে দল 🗹থেকে সরিয়ে দেওয়াই ভাল। এজেন্সির সঙ্গে মোকাবিলা করতে গেলে আমাদেরও তৈরি থাকতে হবে।’ এই নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে জলঘোলা হতে 🌠শুরু করেছে। তিনি কি নাম না করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের ইঙ্গিত করছেন? সরাসরি জবাব দেননি অর্জুন।
অন্যদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই কাদেরকে বুথে বসাতে হবে সেটাও কার্যত গাইডলাইন দিয়েছেন সাংসদ অর্জুন। তাঁর কথায়, ‘কোনও নাক কাটা, গাল কাটা বা কান কাটাকে বুথে বসতে দেওয়া যাবে না। যে লোকটা দু’দিন আগে মানুষকে ভয় দেখিয়েছে, কলার ধরেছে সেই মানুষ যদি বুথে বসে থাকে তাহলে মানুষ তো অন্য কাউকে ভোট দেবেন। যা♐ঁরা সভ্য–ভদ্র, মায়েরা–দিদিরা যাঁরা কাউন্সিলর ছিলেন, কোনও কারণে টিকিট পাননি, তাঁদের বুথে বসাতে হবে। এজেন্সির সঙ্গে লড়তে গেলে নিজেকেও ঠিক রাখতে হবে। এখন আমরা পানের দোকান, চায়ের দোকানে বসছি না। ভেবে নিয়েছি সবাই ভোট দিয়ে দেবে। আমাদের ৯০ শতাংশ পার্টি অফিসই খোলে না। সবাই এখন বাড়ি থেকে রাজনীতি শুরু করেছে। ভেবে নিয়েছি মানুষ আমাদের কথা শুনবেই। কিন্তু এরকম হয় না।
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারকে ৯ কোটি টাকা ঋণ বাকিবুরের! শ্রীঘ💜রে গিয়ে জেরার সিদ্ধান্ত ইডির
ঠিক কী বলছে বিজেপি–তৃণমূল? এই নিয়ে যখন চর্চা তুঙ্গে উঠেছে তখন দুই দলের দুই মুখপাত্র মুখ খুললেন। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘গাল কাটা, নাক কাটা, এটাই তো অর্জুন সিংয়ের পরিচয়। তৃণমূল কংগ্রেস তো এই কথা বলতো। অর্জুন সিং যখন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে বে🐟ড়াতে এসেছিলেন, বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখনও এই কথাগুলিই বলতেন। তাই ওঁর মুখে মানায় না।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘অর্জূন সিং হলেন অমাবস্যা আর পূর্ণিমার গাঁটের ব্যথার মতো। কখন আসে আবার কখন চলে যায়।’