বসন্ত উৎসব হবে না বিশ্বভারতীতে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শান্তিনিকেতনে দোলে বিশ্বভারতীতে হয়ে থাকে বসন্ত উৎসব। এটাই রীতি। এবার বসন্ত উৎসব না হলে পর পর দু’বছর সেই রীতিতে ধাক্কা খাবে। যদিও পরে এই বসন্ত উৎসব পালন করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বক্তব্য। সেখানেই এই বার্তা উঠে এসেছিল। যদিও ওই ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।ঠিক কী বলেছেন উপাচার্য? সেখানে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বার্তা দেন, ‘এখনই বসন্ত উৎসব কোন দিনে হবে সেটা ঘোষণা করছি না। পরে আলোচনা করে দিন ঘোষণা করা হবে। এটা বিশ্বভারতীর পরিবারের অনুষ্ঠান। এটা কখনই আমজনতার অনুষ্ঠান ছিল না।’ আসলে এখানে অনেককে তিনি বহিরাগত বলে মন্তব্য করেছেন। বিশ্বভারতীকে বাঁচানোর ডাকও তিনি দিয়েছেন। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, বসন্ত উৎসবের যে নিয়ম আছে, রীতি মেনে যা হয়ে আসছে তা মেনেই এবার অনুষ্ঠান করা হবে। বৈতালিক থেকে শোভাযাত্রা সবই হবে ঘরোয়াভাবে। অন্যদিকে উপাচার্যের ভাইরাল হওয়া ভিডিও–তে শোনা গিয়েছে, ‘বসন্ত উৎসব আগের মতো হবে না। গত বছর যেভাবে হয়েছিল এবার সেভাবে হবে। বিশ্বভারতী পরিবারে বসন্ত উৎসব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অন্যান্য অনুষ্ঠানের মতো বসন্ত উৎসব করব। আমরা দোলের দিন বসন্ত উৎসব করব না।’এই ঘোষণা ছড়িয়ে পড়তেই ছাত্রছাত্রীরা ফের আন্দোলনে নামবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৯০৭ সালে বসন্ত পঞ্চমীর দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঋতু উৎসবের সূচনা করেছিলেন। সেই থেকেই হয়ে আসছিল বসন্ত উৎসব। ২০১৮ সালে বসন্ত উৎসবে খুব ভিড় হয়েছিল। তার জেরে রাস্তা অররুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। আর ২০২১ সালে বিশ্বভারতী নিজেদের মতো করে বসন্ত উৎসব পালন করে।