আজ, বুধবার প্রয়াত হয়েছেন বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখা গেল শোকপ্রকাশ করেছেন রেখা পাত্র। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল ‘সন্দেশখালি’। যা নিয়ে বিজেপি ফায়দা তুলতে চেয়ে ছিল। সꦺামনে নিয়ে আসা হয়েছিল রেখা পাত্রকে। তাঁকে বিজেপি টিকিট পর্যন্ত দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রেখা পাত্রকে শক্তিস্বরূপা বলেছিলেন। তারপরও বসিরহাট লোকসভা আসন পায়নি বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনে জিতলেও জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম। বহুদিন ধরে লিভার ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। বুধবার দুপুরে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হাজি। বসিরহাটের সাংসদের মৃত্যু হওয়ায় উপনির্বাচন হবে এই কেন্দ্রে। উঠে আসবে আবার সন্দেশখালি ইস্যু। আর এই ঘটনা নিয়ে রেখা পাত্র বলেন, ‘প্রত্যেকটা মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। আম♊রা সমবেদনা জানাই। দীর্ঘদিন অসুখে ভুগছিলেন। চেয়েছিলাম, সুস্থ হয়ে উঠুন। এরকমভাবে চলে যাবেন, ভাবিনি। তাঁর থেকে আমার অনেক রাজনীতি শেখার ছিল। আমরা সত্যিই দুঃখিত।’ আবার প্রার্থী হবেন? প্রশ্ন শুনে রেখা পাত্রের বক্তব্য, ‘সাধারণ মানুষের জন্য আমার লড়াই ছিল। কে প্রার্থী হবেন, সেটা আমার দল ও সাধারণ মানুষ ঠিক করবেন। তাঁরা চাইলে আবার নামജব।’
আরও পড়ুন: ‘আমার মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে সিবিআই’, আদালতে অভিজিতের আইনজীবী
রেখার কথা অনুযায়ী, এখনও বসিরহাটে লড়াই করার ইচ্ছা আছে তাঁর। তবে সবটাই নির্ভর করছে তাঁর দল বিজেপির উপর। এখন এটাও দেখার বিষয়, শক্তিস্বরূপা রেখাকে আবার টিকিট দেয় কিনা বিজেপি। ২০২৪ সালেরর জানুয়ারি মাসে সন্দেশখালিতে সেখানকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুౠদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হন রেখা। কিন্তু পর পর দুটি স্টিং অপারেশন ভিডিয়ো সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল করে দেয় বিজেপির। যা🌞 যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। রেখা পাত্রকে প্রার্থী করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ভোটের আগে তাঁকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তারপরও জিততে পারেননি রেখা।