এত মানুষের রক্তাক্ত মৃতদেহ, স্বজন হারানো কান্নার𝓀 বেদনা এবং মানুষের হাহাকার তিনি সহ্য করতে পারেন না। এবারও তা পারলেন না। এই পরিস্থিতিতে নিজের পাহাড় সফর বাতিল করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় শয়ে শয়ে মানুষ মারা গিয়েছেন। তিনি নিজে সেখানে গিয়েছিলেন দেখতে। তারপর ঘোষণা করেছেন একাধিক ক্ষতিপূরণ। তারপরও এই বিভীষিকা তাঁকে রাতে ঘুমাতে দেয়নি বলেই সূত্রের খবর। বারবার চোখের সামনে ভেসে উཧঠেছে মর্মান্তিক দৃশ্যগুলি।
এইসব দেখে এবং বাংলার মানুষের একের পর এক মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ, সোমবার শেষ মুহূর্তে পাহাড় সফর বাতিল করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সেখানে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ আগেই নবান্ন ⛦থেকে জানানো হয় যে, তিনি সফর বাতিল করছেন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং যাচ্ছেন না। পরে কবে যাবেন? সেটা এখনও জানানো হয়নি সরকারি তরফে। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে এই সফর বাতিলের কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এদিকে আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রু𝓰জিরাকে বিদেশে যেতে আটকে দিয়েছে অভিবাসন দফতর। তারপরই এই কর্মসূচি বাতিল করার খবর আসে। আজ, সোমবার থেকে চারদিনের দার্জিলিং সফরে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাগডোগরা হয়ে দার꧃্জিলিং যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। পাহাড়ে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আলোচনা এবং শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা বলার কর্মসূচি ছিল। কিন্তু এই ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনায় আরও বেশি করে উদ্ধারকাজে জোর দিতে এই কর্মসূচি বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন যদি তিনি দার্জিলিং সফরে যান তাহলে বিরোধীরা নতুন করে রাজনীতি করার সুযোগ পাবে। তাঁরা বলতে শুরু করবেন, এমন দু🍒র্ঘটনায় বাংলার মানুষ যখন আক্রান্ত তখন মুখ্যমন্ত্রীর দার্জিলিং সফর করার কী দরকার? তার সঙ্গে যে বীভৎস ঘটনা ঘটেছে সেটা তিনি ভুলতে পারছেন না। তাই শেষ মুহূর্তে🌊 দার্জিলিং যাওয়া স্থগিত রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন তিনি কলকাতাতেই থাকবেন। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বাংলার প্রচুর মানুষ এখনও নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজ করে চিকিৎসা করা এবং পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতেই জোর দিয়েছেন তিনি। এখনও বহু লাশ শনাক্ত করা যায়নি। তাই সেসব কাজ নিজে তদারকি করতেই সফর বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী।