সুশান্ত চৌধুরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুললেই বোঝা যাচ্ছে, জমে ছিল একরাশ প্রতিহিংসা। কার্যত খুনের হুমকি দিয়েছিল 🍬‘প্রেমিকা’ সুতপা চৌধুরীকে। সেটা যখন নজরে পড়ল, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। ভরসন্ধ্যায় ছুরির একের পর এক কোপে মৃত্যু হয়েছে সুতপার। বহরমপুরের সেই নৃশংস ঘটনার পর সুশান্তের ফেসবুক দেখে দুইয়ে দুই চার করতে পারছেন গোয়েন্দারা।
কম্পিউটার সায়েন্স🐭ের ছাত্র সুশান্তের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ছত্রে ছত্রে আছে প্রতিহিংসা, ক্ষোভ। ফেসবুকের বায়োতে লেখা আছে, 'আই অ্যাম আ ইন্ডিয়ান (আমি একজন ভারতীয়)। এই Bewafa তোর উপর একদিন অনেক ভারী পড়বে। এমনকী তোর জান পর্যন্ত যেতে পারে madam ji।' সুশান্ত সেই কবে লিখেছিল, তা বোঝার উপায় নেই। তবে গত কয়েক মাস ধরে তার ফেসুবক এরকম প্রতিহিংসাপরায়ণ ফেসবুক পোস্ট দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছেন তদন্তকারীরাও।
নৃশংসভাবে সুতপাকে খুন
সোমবার সন্ধ্যায় বহরমপুর গোরবাজারে কুপিয়ে সুতপাকে খুন করা হয়। খুনের যে ভিডিয়ো ছড়িয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছেন সুতপা। তাঁকে একের পর এক কোপ মারছেন সুশান্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা কথা বলার চেষ্টা করলেও সুতপা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্𓆏ধে বিষোদগার করতে থাকে সুশান্ত। পরে রাত ১০ টা নাগাদ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, সুশান্তের ফোন থেকে খুনের একাধিক ভিডিয়ো মিলেছে। জেরায় ধৃত জানিয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সুতপার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিল সুতপাকে। কিন্তু অপর একজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ🍸তা তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি সম্পর্ক ভেঙে দিতে চাইছিলেন। তাই 'প্রতিশোধ' নিতেই সুতপাকে খুন করে বলে জেরায় স্বীকার করেছে সুশান্ত।
আরও পড়ুন: Berhampore Murde🙈r: বছরখানেক আগে সুতপাকে বিয়ে, ‘প্রতিশোধ’ নিতে নৃশংসꦫ খুন, জেরায় দাবি সুশান্তের
তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় সুশান্📖ত দাবি করেছে যে খুনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল। গোরাবাজারের যেখানে সুতপাকে খুন করা হয়, সেখানে মাসখানেক আগে থেকে 'রেইকি' চালাচ্ছিল। খুনের পর পালানোর জন্য ব্যাগে জামাও রেখেছিল। সঙ্গে ছিল নকল বন্দুক এবং ছুরি। যে ছুরি বারবার কুপিয়ে খুন করেছে সুতপাকে। তারপর লাক্সারি ট্য়াক্সিতে উঠে রক্তভেজা জামা পালটে নিয়েছিল। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে তিনবার গাড়িও পালটেছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সামশেরগঞ্জ থেকে মালদহগামী একটি বাস থেকে সুশান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একাধিক ধারায় রুজু করা হয়েছে মামলা।