আজ, মঙ্গলবার চায়ের দোকানে গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল ভাঙড়ে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ভাঙড় শাকশহর এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। চায়ের দোকান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রৌঢ়ের গলাকাটা দেহ। কেন প্রৌঢ়কে খুন করা হল? কারা আছে এই খুনের নেপথ্যে? এই প্রৌঢ়ের পরিচয় কী? এখন ভাঙড় থানার পুলিশ তদন্তে নেমে পড়েছে। খুনের ঘটনা চাউর হতেই চাপা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়। পুলিশ মনে কর🔯ছে, সাতসকালেই এই ঘটনা ঘটেছে। যার জন্য আশেপাশের লোকজন প্রৌঢ়ের চিৎকার শুনতে পায়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পুলিশ মৃতের নাম জব্বার মোল্লা (৫৫)। ভাঙড়ের শাকশহর এলাকায় কেউ বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করেছে। আর আজ সকালে শাকশহর বাজারে চায়ের দোকান খোলা হয়নি। তখন জব্বার মোল্লার ছেলে এসে চায়ের দোকান খুলতে যেতেই চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে যায়। চায়ের দোকানের ভিতরে বাবার গলা কাটা দেহ দেখে আতঙ্কে চিৎকার করে উঠে ছেল💖ে। গলা কাটার পাশাপাশি প্রৌঢ়র দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পরিকল্পিত খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে সেটাই তদন্ত করে দেখছে ভাঙড় থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচন নিয়ে প্রবল চাপে বিজেপি, ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রেই নামছে প্রথমসারির নেতারা
স্থানীয় সূত্রে খবর, জব্বার মোল্লা প্রত্যেকদিনই দোকান খুলতেন। আর ওই দোকানেই রাতে ঘুমাতেন। কিন্তু এদিন দোকান খুলতে দেখা যায়নি তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে তাঁর ছেলে অন্য একটি চাবি দিয়ে দোকান খোলেন। আর তখনই বাবার গলাকাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছিল গোটা দোকান। সেই রক্ত জমাট বেঁধে কালচে হয়ে গিয়েছিল। জব্বারের ছেলে বলেন, ‘আমার বাবার গলা কাটা ছিল।⛄ আর শরীরেও একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কোপানো হয়েছে।’ এখানে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন জব্বার মোল্লা। সেখানে চায়ের দোকান চালাতেন। রাতে ওই দোকানেই ঘুমিয়ে পড়তেন জব্বার।
এছাড়া জব্বার মোল্লার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। কে বা কারা খুনের নেপথ্যে রয়েছে? মৃত প্রৌঢ়ের সঙ্গে কারও কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার 🍸খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। রাজনৈতিক কোনও কারণ রয়েছে কিনা সেটাও সরেজমিনে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। কারণ সামনে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার মধ্যে হাড়োয়া আছে। তবে জব্বার মোল্লার কোনও রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।