মাওবাদী কমিটি দাবি করেছে পাঁচ লক্ষ টাকা। সেটা না পেলে কেড়ে নেওয়া হবে প্রাণ। এবার এমনই হুমকি চিঠি পেলেন পূর্ব বর্ধমানের এক চিকিৎসক। মঙ্গলবার মাওবাদী কমিটির নামে ওই চিঠিটি এসে পৌঁছেছে এক মহিলা চিকিৎসকের কাছে। আর তার জেরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা হ൩াসপাতালে। এই হমকি চিঠি পেয়েই ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্লক মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের মত, মাওবাদী সংগঠন এই চিঠি পাঠিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই হুমকি চিঠি পরীক্ষাও করা হচ্ছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এদিকে ওই মহিলা চিকিৎসকের নাম অপর্ণা মুখোপাধ্যায়। তিনি ভাতার ব্লক হাসপাতালের দন্ত বিশেষজ্ঞ। তিনি দন্ত বিভাগে ঢুকে আউটডোর খোলার সময় মেঝেতে এই চিঠি পড়ে থাকতে দেখেন। সেটি খুলতেই ওই চিঠির সঙ্গে একটি কার্তুজও মেলে। যা ওই চিঠির সঙ্গে আটকে পাঠানো হয়েছিল। চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে মাওবাদীদের নাম। পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে। এমনকী ওই টাকা আজ, বুধবারের মধ্যে দিতে হবে। এই চিঠি হাতে পেয়ে চিকিৎসক ♏অপর্ণা মুখোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানান।
ঠিক কী লেখা আছে চিঠিতে? এই হুমকি চিঠি সঙ্গে একটি বুলেট বা কার্তুজ আটকে পাঠানো হয়েছে। যা আতঙ্কের বিষয়। চিঠিটি লাল কালিতে লেখা হয়েছে। আর ওই চিঠি লেখা হয়েছে, ‘মাওবাদী কমিটিকে অনুদান হিসাবে দিতে হবে পাঁচ লক্ষ টাকা। আর বিষয়টি যদি পুলিশের কাছে জানানো হয় তাহলে ‘ভয়ঙ্কর’ পরিণতি হতে পারে। পরের বুলেটও তৈরি রয়েছে।’ অর্থাৎ একটি বুলেট পাঠানো হয়েছে। পরের বুলেটটি সরাসরি চিকিৎসকের বুকে আঘাত হানবে। আর তাতেই গোটা হাসপাতালে আলোড়ন ছ🐎ড়িয়ে পড়েছে। সরাসরি টাকা দাবি করে চিকিৎসককে প্রাণে মারার হুমকি এমন আগে দেখা যায়নি। তাও এটি জঙ্গলমহল নয়।
আরও পড়ুন: বকেয়া কর আদায়ে উদ্যোগী কলকাতা পুরস෴ভা, চালু করা হচ্ছꩵে নতুন নিয়ম
আর কী জানা যাচ্ছে? এই চিঠি পাওয়ার পর থেকে আতঙ্কে ভুগছেন চিকিৎসক এবং তাঁর গোটা পরিবার। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লেখারও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আর এই বিষয়ে বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্যꦆ আধিকারিক বলেন, ‘ভাতার হাসপাতালের এক চিকিৎসককে লাল কালিতে লেখা একটি হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে। চিঠির সঙ্গে বুলেট ছিল। টাকা না দিলে প্রাণ মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মাওবাদীদের নাম করে এই চিঠি এসেছে।’ চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স এই বিষয়টি সর্বস্তরে জানাবার উদ্যোগ নিয়েছে।