দুজনেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন মাঝেমধ্য়েই। একজ🦩ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। আর অপরজন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। সেই জন বার্লার বাড়িতে আচমকাই উপস্থিত হলেন বিমল গুরুং। একপ্রস্থ বৈঠকও করেছেন দুজনে। এদিকে বিগত দিনের বিজেপি শিবিরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল বিমল গুরুংয়ের। পরবর্তী সময়ে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন গুরুং। কিন্তু গত কয়েকমাসের ছবি বলছে, পাহাড়ে দ্রুত বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ। তৃণমূল থেকে বেরিয়ে এসেছেন বিনয় তামাং। অন্যদিকে হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। আর বিমল গুরুং আবার দেখা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার সঙ্গে। পাহাড়ে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের জল্পনা তুঙ্গে।
শুক্রবার বিকালে আচমকাই বানারহাটে লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে কেন্দ্রীয় 🐠মন্ত্রীর বাসভবনে যান গুরুং। তিনি ওই বাড়িতে প্রায় ঘণ্টা তিনেক ছিলে🗹ন। স্থানীয় বিজেপির নেতা কর্মীরাও ছিলেন ওই মিটিংয়ে। এই মিটিংকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
তবে দুপক্ষই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এটা একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎকার। তবে এর সঙ্গেই বিমল জানিয়েছেন, যতদিন শ্বাস থাকবে ততদিন তিনি গোর্খাল্যা🌺ন্ডের দাবি থেকে সরবে♑ন না। পাশাপাশি চা বাগানের একাধিক সমস্যা🌺 মেটানোর ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে তিনি তাঁর মতামত জানান। মূলত চা শ্রমিকদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন উঠছে তবে কি ফের বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াবেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং?
সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি। তবে সামনেই লোকসভা ভোট। পাহাড়ে নতুন করে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে বিজেপি। অন্য়দিকে 🥀মোর্চা সহ একাধিক দল ফের নতুন করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলতে শুরু করেছে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রতিবার꧂ ভোট এলেই গোর্খাল্যান্ডের দাবি ওঠে। আর এনিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিও মোর্চা নেতাদের তুষ্ট করতে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়।
তবে জন বারলা এর আগে পৃথক উত্তরবঙ্গের পক্ষে সরব হয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার অভিযোগ তুলেই তিনি এই দাবি তোলা শুরু করেছিলেন। অন্যদিকে এর আগে বিমল গুরুং👍য়ের নেতৃত্বে মোর্চা দিনের পর দিন ধরে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে পাহাড় স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন। সেই মোর্চা নেতা এবার সরাসরি দেখা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার সঙ্গে। সেক্ষেত্রে এবার বিমল গুরুংয়ের রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে তা নিয়ে নয়া জল্পনা তুঙ্গে।