পাহাড়ের স্কুলগুলিতে দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। এই ঘটনায় আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আপাতত সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে তদন্তের দাবিতে সরব হলেন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) প্রাক্তন প্রধান ব𒀰িমল গুরুং এবং বিনয় তামাং। এই ঘটনায় তাঁরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষক নিয়োগে যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাই এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষক🍰 নিয়োগে অনিয়ম, মামলায় প্রয়োজন হতে পারে যাবতীয় তথ্য, সংগ্রহ করছে জিটিএ
মূলত পাহাড়ে প্রাথমিক স্তর এবং হাই স্কুল স্তরে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। দুটি আলাদা মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০২ সাল থেকে পাহাড়ে আঞ্চলিক স্কুল সার্ভিস কমিশন নেই। ফলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ২২ বছরে সেখানে ১২০০ এর বেশি শূন্যপদ তৈরি হওয়ায় অস্থায়ী শিক্ষক শিক্ষিকাদের ꧒নিয়মিত করা হয়েছে।
জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্বত্য পরিষদ যখন এখানে ছিল তখন দু দফায় ৬৩০ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়মিতকরণ হয়েছে ২০১২ সালে। তবে ‘জিটিএ’ 🐭পাহাড়ে দায়িত্বে আসার পরে ২০১৯ সালে ১২১ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে স্থায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, সেক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপোষণ হয়েছে।
বিমল গুরুং জানিয়েছেন, এই ঘটনায় সত্যি সামনে আসবে। আইনের প্রতি তাঁর ভরসা রয়েছে। অন্🍨যদি🐭কে, বিনয় তামাং জানান, নিয়োগে কী অনিয়ম হয়েছে আদালতের নির্দেশে তদন্ত হলেই তা জানা যাবে।
এদিকে, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে লোকসভা ভোটের পরেও যে বিরোধীরা সুর চড়াবে তা ভালো মতোই আঁচ করতে পের🎀েছে পাহাড়ের শাসক দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিজেপি, জিএনএলএফ, হামরো পার্টি, গোর্খা জন মুক্তি মোর্চা একসঙ্গে আন্দোলনে নামতে পারে। যদিও এবিষয়ে এখনও চুপ রয়েছেন জিটিএর প্রধান অনীত থাপা।
এদিকে, 🍌হাইকোর্ট যেহেতু মামলা চলছে তাই পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। এনিয়ে জিটিএ শিক্ষা🀅 বিভাগের তরফে সম্প্রতি কালিম্পং এবং দার্জিলিংয়ের স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়ে তাতে ৭ বছরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষকরা কী কী নথি জমা দিয়েছিলেন তাও রিপোর্টে স্পষ্টভাবে জানাতে বলা হয়েছে।