🤪 নিজের জেলায় ফিরছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি। বোলপুরে নিচুপট্টিতে তাঁর বাড়িতে সাফাই অভিযানের কাজ চলছে। আর পাশাপাশি এবার সাফাই অভিযান শুরু হল সিউড়িতে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে। প্রথমে সিবিআই এবং পরে ইডির মামলায় জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার বীরের মর্যাদা দিয়ে তাঁকে বীরভূমে নিয়ে আসা হবে। আর তাই এখন থেকেই সবাই বলতে শুরু করেছে ‘বীরভূমের বাঘ আসছে।’ তাই কেষ্টদার জন্য বাড়ি থেকে দলীয় কার্যালয় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
🏅এদিকে দলীয় কার্যালয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের বসার চেয়ার থেকে দিদির ছবি। অনুব্রত মণ্ডলের আরাধ্য দেবতা ভোলানাথের ছবি পরিষ্কার করা হচ্ছে। পাল্টানো হচ্ছে জানালা–দরজার পর্দা। পালিশ করা হচ্ছে তাঁর ঘর। অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে তাঁর অফিস সাজিয়ে রাখত আগে ঠিক সেভাবেই আবার নতুন করে সাজানো হচ্ছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস। বলা যেতে পারে, সাজো সাজো রব এখন জেলা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে। দিল্লির আদালতে গরুপাচার মামলায় জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর বীরভূমে ফেরা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দফতরে পড়ে গিয়েছে সাজো সাজো রব। বসানো হচ্ছে নেতার ছবি, ফ্লেক্স এবং কাটআউট।
আরও পড়ুন: বিদ্যাধরী নদীতে একের পর এক কুমির ঘুরে বেড়াচ্ছে, আতঙ্কে সিঁটিয়ে হাড়োয়ার বাসিন্দারা
অন্যদিকে আজ, রবিবার অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সাফাই অভিযান জেরকদমে চলছে এবং সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।ꩲ এতদিন কন্যা–সহ তিহার জেলে ছিলেন কেষ্ট–সুকন্যা। এই কারণে তালাবন্ধ অবস্থাতেই পড়েছিল গোটা বাড়ি। এবার জেলায় ফিরছেন বীরভূমের ‘বাঘ’। আর তাই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ব্যস্ততা তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসও আজ সাজিয়ে তোলা হল। জেলে যাওয়ার আগে যাবতীয় কাজ এখান থেকেই করতেন অনুব্রত। এই অফিসেই দেওয়া হচ্ছে ঝাঁটা। পরিষ্কার করা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের বসার চেয়ার। কেষ্ট যেভাবে নিজের ঘর সাজিয়ে রাখতেন ঠিক সেভাবেই আবার নতুন করে সাজানো হচ্ছে পার্টি অফিস।
🐼এছাড়া বাড়তি উদ্যোগ নিচ্ছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনিও তাঁর কেষ্টদার জন্য ফুল মিষ্টির ব্যবস্থা করছেন বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই বীরভূমে খাসির মাংস ভাত খাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল ফিরে আসার আনন্দে। তবে যেদিন অনুব্রত ফিরবেন সেদিন এলাকার মানুষজনকে গুড়বাতাসা বা নকুলদানা দেওয়া হবে কিনা তা জানা যায়নি। এখানের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি বলেন, ‘দাদা এই ঘরে বসত এসে। তাই আমাদের কর্মীরাই পরিষ্কার করছেন। যাতে ঘর নতুন করে সাজিয়ে তোলা যায়। দাদার চেয়ার পালিশ করা হয়েছে। দাদা ঝুল–নোংরা একদম পছন্দ করেন না। তাই যত দ্রুত সম্ভব পরিষ্কার করছি।’