অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেল থেকে ফিরে আসার পরও জেলার রাজনীতিতে দুটি শিবির দেখা যাচ্ছে। একটি শিবির কেষ্ট গোষ্ঠী, আর একটি শিবির কাজল গোষ্ঠী। আর এটাকে ঢাকতে ‘সবাইকে নিয়ে চলতে হবে’ বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সেটা আবার অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের মুখেও শোনা যাচ্ছে। অথচ বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে মুখোমুখি দেখা হয়নি দু’জনের। বীরভূমের অন্যান্য বিধায়ক𝕴 এবং নেতারা দাবি করছেন, দু’জনের মধ্যে কোনও ঠাণ্ডা লড়াই নেই। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো পৃথকভাবে দুই নেতাকে ফোন করলেন কেন? উঠছে প্রশ্ন। মঞ্চ থেকে দু’জনেই সমন্বয়ের বার্তা কদিন আগে দিয়েছেন। কর্মী–সমর্থকদের একজোট হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তাল কেটে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই অনুগামী নানা মন্তব্যে। যদিও কোর কমিটির বৈঠকে দু’জনে মুখোমুখি হয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জামিন পেয়ে ফেরার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের ‘দূরত্ব’ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। এই চর্চা বাড়ছে কারণ দলের বিজয়া সম্মিলনীর কোনও মঞ্চেই সভাপতি ও সভাধিপতিকে একত্রে দেখা যায়নি। তবে শনিবার বোলপুরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছিলেন কেষ্ট–কাজল। কেষ্টকে কোর কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। কোর কমিটির বৈঠক শেষে দু’জনেই কর্মী–সমর্থকদের একজোট হয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন। তারপরও সাঁইথ🥂িয়ার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্ট দেখে দূরত্ব আছে ജবলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আদিবাসী উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক আমন্ত্রিত বিজেপি সাংসদ, নবান্নে যাচ্ছেন না খগেন মুর্মু
অনুব্রত মণ্ডল জেল যাওয়ার আগে পর্যন্ত দলে নানা অবদান দিয়েছেন। আর জেল চলে যাওয়ার পর কাজল শেখের অবদানও যে কম নয় সেটা দেখেছেন দলের নেতা–কর্মীরা। একের পর এক নির্বাচনে খেটে দলকে কাঙ্খিত ফসল তুলে দিয়েছেন। আর তাই এখন আর অনুব্রতর আনুগত্য বা অধীনে থেকে কাজ করতে নারাজ কাজল শেখ। আর জেল থেকে বেরিয়ে এসে অনুব্রত পরিবর্তিত পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছেন না। কারণ তিনি নিজের হাতে বীরভূমের সংগঠন তৈরি করেছিলেন। আর প্রত্যেক নির্বাচনে খেটে পরাস্ত করেছিলেন বিরোধীদের। এই আবহে অনুব্রত অনুগামী বলে পরিচিত সাঁইথিয়ায় দলের সক্রিয় কর্মী রিও ঘোষাল নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘ইতিহাসকে জানতে হবে, কেষ্টদাকে মানতে হবে।’