বিজেপি বিধায়ক–সাংসদরা বারবার অভিযোগ তোলেন, রাজ্য সরকার তাঁদের বৈঠকে ডাকেন ন🧸া। প্রকল্প উদ্বোধনে আমন্ত্রণ করেন না। এবার আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনজাতির জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হচ্ছে ꦛনবান্নে। আর সেই বৈঠকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তথা মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে আমন্ত্রণ করল রাজ্য সরকার। এই বৈঠকে যোগ দিতে তাঁকে নবান্নে যেতে হবে। কিন্তু সেই বৈঠকে যাচ্ছেন না খগেন মুর্মু। নানা অভিযোগ এবং যুক্তি দেখিয়ে যাচ্ছেন না বিজেপি সাংসদ। যা নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে এই বৈঠকে যোগ না দিয়ে বিজেপি সাংসদ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন। খগেন মুর্মুর যুক্তি, ওইসব বৈঠকে কাজের কাজ কিছুই হয় না। আর এখন তিনি ঝাড়খণ্ডে বিজেপির প্রচার নিয়ে ব্যস্ত। তাই নবান্নের বৈঠকে যাচ্ছেন না। অথচ বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদল একতরফা বৈঠক ডেকে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেয়। বিরোধীদের কোনও কথা শোনে না। কিন্তু আদিবাসী উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে নবান্নের পক্ষ থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধি তথা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে আমন্ত্রণ করা হয়। আজ, সোমবারই বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু সেই বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন না মালদা উত্তরের বিজে🌜পি সাংসদ।
আরও পড়ুন: ফাঁকা ট্রাম কয়েকটি রুটে চলল, আশার আলো দেখছেন ট্রামপ্রেমীরা, সরকার রাজি নয়
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে খগেন মুর্মু জিতলেও বঙ্গ–বিজেপির সার্বিক ফল খারাপই হয়েছিল। আদিবাসী ভোট হাতছাড়া হয়েছিল। ২৯টি আসন জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখানে বিজেপির আসন কমে দাঁড়ায় ১২টিতে। সেখানে এই বৈঠকে না আসায় তা রাজ্যে প্রচার পেয়ে যাবে। তারপরও খগেন মুর্মুর অভিযোগ, এই বৈঠকের কোনও এজেন্ডা নেই। কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হဣবে সেটার ঠিক নেই। আর এই সব কমিটি বা বৈঠকের সারবত্তা নেই। শুধুই বৈঠক হয়। কাজের কাজ কিছু হয় না। কিন্তু আদিবাসীদের অনেক ধরণের সমস্যা আছে। সেই সমস্য𓄧ার কথা বৈঠকে আলোচনা হয় না।
বিজেপি সাংসদ এই অভিযোগ তুললেও তা মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদল পাল্টা বলছে, বিজেপি সাংসদ উপস্থিত হয়ে সেই সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারতেন। তা না করে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেখানে প্রচার পাবে, আদিবাসীদের নিয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। বিজেপি সাংসদের দাবি, নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা নিয়ে বৈঠক হতে হবে। আর আদিবাসীদের উন্নয়ন করতে হবে। পাল্টা শাসকদলের খোঁচা, আমন্ত্রণ পেয়েও বৈঠকে এলেন না বিজেপি🗹 সাংসদ। আর বিরোধীদের উপেক্ষা করা হয় বলে অভিযোগ করেন। এℱটা কেমন দ্বিচারিতা?