কলকাতা শহর থেকে ট্রাম উঠে যাবে। শুধুমাত্র একটি🐓 রুটে তা চলবে। এমনটাই বলা হয়েছিল পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে। তারপর থেকে একে একে রুট বন্ধও হয়ে যাচ্ছিল। সেখানে বেশ কয়েক মাস পর টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে গত কয়েকদিনে গড়িয়াহাট রুটে বারবার ফাঁকা ট্রাম চলল। সেটা নজরে এসেছে সকল ট্রামপ্রেমীদের। এমনকী ট্র্যাক মেরামতের কাজও দেখতে পেয়েছেন অনেকে। আর এটা দেখেই মনে প্রশ্ন জেগেছে অনেকের, তাহলে কি কলকাতার রাজ👍পথে আবার ফিরবে ট্রাম? তাই কি এমন উদ্যোগ?
এই ঘটনা দেখার পর উৎসাহ পেয়েছেন ট্রামপ্রেমীরা। তাই কলকাতায় নস্টালজিয়া ট্রাম ফেরানোর দাবিতে ট্রাম যাত্রীদের সংগঠন ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশন গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান করে যাচ্ছে। কলেজ স্ট্রিটে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শনিবার সেই সই সংগ্রহ অভিযান দেখা গিয়েছে। এই আবহে নভেম্বর মাসে শ্যামবাজার–ধর্মতলা এবং গড়িয়াহাট–ধর্মতলা রুটে আবার ট্রাম চলল। এখন এই দু’টি রুটে ট্রাম পরিষেবা অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। কি🤡ন্তু ট্রাম চলছে দেখে 🍎ট্রামপ্রেমীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দল সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে কড়া ব্যবস্থা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এখন ট্রাম ময়দানের একটি রুটে চলে। সেখানে ফাঁকা হলেও ট্রাম চলাচল করা এবং ট্র্যাক মেরামত করার ঘটনায় আশার আলো দেখছেন ট্রামপ্রেমীরা। কলকাতার নাগরিক সমাজ চায় মহানগরের বুকে ট্রাম পরিষেবা বহাল থাকুক। কিন্তু রাজ্য সরকার ট্রাম তুলে দেওয়ার অবস্থানে অনড়। কলকাতা শহরে যে পরিমাণ গাড়ি বেড়েছে তাতে ট্রাম চলাচল করে যানজট তৈরি হবে। সেখানে নস্টাজিয়াকে বাঁচিয়ে রাখতে একটা রুটে চলে ট্রাম। বাকি রুটগুলিতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘গ𒈔োটা বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাই যে কটি রুটে ট্🌳রাম চলছে, সেগুলি আমরা বন্ধ করছি না। আমাদের অবস্থান হল, রাজ্য সরকার কলকাতায় ট্রাম চালাবে না।’
তাহলে ফাঁকা ট্রাম চলল কেন? ট্র্যাক মেরামত হল কেন? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে পরিবহণমন্ত্রীর জবাব, ‘সেটা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে কোনও ট্রাম ডিপোর কর্মীদের আমরা কাজ বন্ধ করতে বলিনি। ট্রাম কর্মীরা তাঁদের কাজ করতেই পারেন।’ গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি ট্রাম লাইনে পিচ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়টি আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করছেন আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী। কলকাতা হাইকোর্টে ট্রাম নিয়ে আইনি লড়াই করছেন অনিন্দ্য। তাঁর কথায়, ‘আদালত স্পষ্ট বলেছে, ট্রাম লাইনের বিটুমিনাইজেশন করা যাবে না। এরপরও বিটুমিনাইজেশন 🐎হওয়ায় সেটা আদালত অবমাননার সামিল। আমরা এটা আদালতের ন𒁏জরে এনেছি।’