রাজ্য জুড়ে বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ। হাবরা এক নম্বর ব্লকেও বিজেপির বিক্ষোভ। সেখানে উপস্থিত গাইঘাটার বিধায়ক। আর সেই বিক্ষোভ স্থল থেকেই তিনি সুর চড়ালেন তৃণমূলকে নিশানা করে। আর সেখানে একেবারে কেষ্ট মণ্ডলের মতো হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।তিনি বলেন, বিডিও অফিস শুনে নিন। আর মাত্র কয়েকটা মাস। একবছরও যাবে না। ভাববেন না সারা জীবন এসি ঘরে থাকবেন। টাইম আসছে। চড়াম, চড়াম নকুলদানার জন্য তৈরি থাকুন। যেদিন চেঞ্জ হবে সেদিন থেকে অনুব্রত মণ্ডলের সব দাওয়াই আপনাদের উপর প্রয়োগ হবে। আপনারা যা যা করেছেন সাধারণ জনগণ…। হাসপাতাল যেতে পারবেন…সেটা জনগণ বিচার করবে । তাই বলছি বিজেপি কর্মীদের বলব ঘাবড়াবেন না। আপনারা হলেন ১০০ শতাংশ সোনা।পরে তিনি বলেন, আজ কমিশনের যে দ্বিচারিতা, কমিশন ইচ্ছা করে এসব করল। ভোটের নামে যে ৫০জন মায়ের কোল খালি হল, এটা কীসের জন্য হল। প্রশাসন ভোটের নামে প্রহসনের সঙ্গে যুক্ত। লোকসভা ভোট হলে রাজ্য তৃণমূল শূন্য় হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গে তিনটি দলের নাটক চলছে। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা হলে তৃণমূল শেষ। তবে তিনি সরাসরি চড়াম চড়াম প্রশ্নের উত্তর দেননি। বারুইপুর ব্লক অফিসে বিজেপির কর্মসূচি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সেখানেও তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দেন। সজল ঘোষ বলেন, এতটা অসভ্য. নির্লজ্জ, বেহায়া দেখিনি। যা পাপ করছেন তার প্রায়শ্চিত্ত করুন। পাড়ার ফুটো মস্তান, তৃণমূলের পতাকা সরিয়ে দিলে তাদের কোনও অস্তিত্ব নেই। আমাদের কর্মী ছাতির জোরে দাঁড়িয়ে আছেন। বিডিওকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সজল ঘোষ বলেন, কোনও না কোনও পাড়ায় তোমরা বাজার করো লুঙ্গি পরে। আর জনতা যেদিন বিচার করলে সেই বিচার বড় মারাত্মক। সেটা নিয়ে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট হয় না।…আমরা তৃণমূলকে ভয় পাই না। মনে রাখবেন সব কিছুর শেষ আছে। সিপিএমকেও সরতে হয়েছে। হিটলারও চলে গিয়েছে।এদের তো শুধু নোট আর পার্সেন্টেজ।