একুশের নির্বাচনের আগে অনেকের দমবন্ধ হয়ে আসছিল। তাই সেফ হোম হিসাবে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এখন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই তাঁদের মোহভঙ্গ হচ্ছে। ফলে আবার তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসতে চাইছেন। গোটা রাজ্যজুড়েই এটা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু পাঁচ বছর আগে যিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ছিলেন এবার তিনিও ফের ফিরে এলেন। গিয়েছিলেন বিজেপিতে। তাঁরও মোহভঙ্গ হলো। তবে দেরিতে। তিনি বিজেপির বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের পর্যবেক্ষক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই পুরনো দলেই প্রত্যাবর্তন। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অভিজিৎ রায়। সুতরাং বীরভূমে সংগঠন বিজে🐲পির তলানিতে গিয়ে ঠেকল।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। তখন অনেক অভিযোগ তুলেছিলেন মল্লারপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের রায়পাড়ার বাসিন্দা মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে যে লড়া🍒ই তিনি করলেন তার যোগ্য সম্মান পেলেন না। এলাকায় বিজেপির মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু দেরিতে হলেও বুঝতে পারলেন সিঙ্গল ফুলে থেকে কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই জোড়াফুলে এলেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মল্লারপুরের দুটি পঞ্চায়েত থেকে বিজেপি মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছিল মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃঢ় মনোভাবের জন্যই। আর ♊তার ফলেই মল্লারপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে আসে বিজেপির। একুশের নির্বাচনেও যথেষ্ট সক্রিয়ই ছিলেন তিনꦰি। এখন তিনিই আবার তৃণমূল কংগ্রেসে। নিজের অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে ফিরে এলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এমনকী বিজেপির তফশিলি মোর্চার ব্লক সভাপতি বিকাশ কাহারের মতো নেতাও যোগ দিয়েছেন।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসা নিয়ে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পাঁচবছর আগে মনোমালিন্যের কারণে আমি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলাম। তারপর বিজেপিতে যোগ দিই। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম, ওরা জাতপাতের রাজনীতি ছাড়া আর কিছু বোঝে না। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে থেকে রাজনীতি করা যায় না। আমার নিজস্ব ဣনীতি আদর্শ বিসর্জন দিতে পারব না। তৃণমূল কংগ্রেস অনেক উন্নয়ন করেছে তা অস্বীকার করা যাবে না। তাই আমি ঘরে ফিরলাম।’