গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপির পার্টি অফিসে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ চলছে। কখনও নতুন পার্টি অফিস সল্টলেকে আবার কখনও মুরলীধর সেন লে𒁃নের মুখ্য কার্যালয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপির কর্মীরা। লোকসভা ভোটের আগে দলের অন্দরে কর্মীদের বিক্ষো🐻ভে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি। এই অবস্থায় সমস্যার সমাধানে রাজ্য নেতৃত্বকে পরামর্শ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: 'এরকম দু'একটা ঘটনা ঘটেই থাকে', বিহারের ট্রেন দুর্ঘটনা🍸 নিয়ে মন্তব্য দিলীপ ঘো꧂ষের
বিজেপির অন্দরে এর আগে যে এই ধরনের ঘটনা কোনওদিন ঘটেনি তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে বিক্ষুব্ধদের সাজা দিয়ে কোনও লাভ হবে না। দলের কর্মীদের সমস্যা সমাধান করতে গেলে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। শাস্তির ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না । তিনি জানান, দলের বিক্ষুব্ধ 💞কর্মীরাও বিজেপির পরিবারেরই সদস্য। তাই তাদের সঙ্গে বসে কথা বলা উচিত। শুক্রবার সকালে খড়্গপুরে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ൩ ঘোষ। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান। পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নিজের স্বভাবভঙ্গিতেই রাজ্য সরকারকে একের পর এক কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি।
Watch: বিজেপির পার্টি অফিসে ধুন্ধুমার! সল্টলেকের পর মুরলীধর লেনে কর্মীরা উগরে দিলেন ক্ষোভ
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির দলীয় প্রধান কার্যালয়ে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। তার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। মূলত বিজেপির কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তৃণমূল থেকে দলে যোগ দেওয়া নেতা কর্মীদের নিয়ে। কর্মীদের বক্তব্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প𝔉র পুরনো যারা দলের কর্মী আ🍃ছেন তাদেরকে বিজেপিতে কোনও কাজ দেওয়া হচ্ছে না। তাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বরং যারা তৃণমূল থেকে এসেছে তাদেরকে দলে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাই তাঁরা অবিলম্বে দলের নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণ দাবি করছেন। একইসঙ্গে পুরনো যারা কর্মী আছে তাদেরকে আবার মূল স্রোতে ফিরিয়ে এনে দলে গুরুত্ব দিতে হবে বলে দাবি করেছেন। এই দাবিকে সামনে রেখেই বিজেপির কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। গতকাল কর্মীদের বিক্ষোভে রাজ্যের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং দলের নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি পোড়ানো হয়। তাদের বক্তব্য, বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিজে কাজ করছেন না, তাঁকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। তাঁদের হুঁশিয়ারি, রাজ্য সভাপতি সতর্ক না হলে আগামী দিনে আরও সমস্যা তৈরি হবে।