টাকা নিয়ে ভোটের টিকিট বিলির অভিয়োগ আগেই উঠেছিল। তথাগত রাযের মতো বর্ষীয়ান নেতাও এই নিযে সরব হয়েছিলেন। আর এবার এই নিয়ে সরাসরি শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি লিখে বিস্ফোরক অভিয়োগ করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি। অভিযোগ, তিনি নাকি বিধানসভায় টিকিট পেতে ২৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তবে টিকিট তো মেলেনি, টাকাও ফেরত পাননি তিনি। এই অবস্থায় অভিযোগকারী বিজেপি নেতা আত্মহত্যার হুমমকি প🥃র্যন্ত দিয়েছেন নিজের লেখা চিঠিতে।
কয়েক মাসে আগে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট ছল ‘হট কেক’ । সেই সময় বিজেপির টিকিট পেতে প্রায প্রতিদিনই নিয়ম করে কেউ না কেউ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছিলেন। এই আবহে প্রাক্তণ মণ্ডল সভাপতির থেকে নাকি পাঁচ দফায় মোট ২৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছিল টিকিট দেওয়ার আশ্বাসের বিনিময়ে। টাকা নেওয়ার অভিযোগ বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহ সভাপতির বিরুদ্ধে। আর এই মর্মে বিজেপি-র পটাশপুর ১ 𓂃উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি মানস রঞ্জন সামাই চিঠি লেখেন শীর্ষ নেতৃত্বকে।
জানা গিয়েছে, দলীয় প্যাডে লিখে তত্কালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ শীর্ষ নেতৃত্বকে হোযাটসঅ্যাপের মাধ্যমে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন মানসবাবু। তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, উক্ত 23 লাখ টাকা তিনি ফেরত না পেলে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন এবং তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহ সভাপতি। সোমবার মানসবাবুর এই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয জোর রাজনৈতিক তরজা। অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও চিঠির সত্যতা য়াচাই করা সম্ভব হযনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার পক্ষে। অবশ্য মানসবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানান য়ে তিনি সত্যি এই চিঠি লিখেছিলেন। তা তিনি পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হোসেনকে। ত✤বে সেই চিঠি এতদিন পর কীভাবে প্রকাশ্যে এল, তা সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন মানসবাবু।