রাজ্যে একশো দিনের কাজের প্রকল্প খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে আবারও ক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয✱় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাও আবার বিজেপির নেতা কর্মীরাই প্রতিনিধি দলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখলেন। ঘটনাটি রায়গঞ্জের কলমাবাড়ি ২ পঞ্চায়েতের। রবিবার দুপুরে নলিন পাঠক ও বিজয়কুমার মিশ্র নামে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল𝓰। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
জানা গিয়েছে, এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নথি খতিয়ে দেখতে পঞ্চায়েতের কার🌠্যালয়ে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পর তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির স্থানীয় নেতা কর্মীরা। বিজেপির কিসান মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ রায়ের নেতৃত্বে এদিন বিক্ষোভ দেখান হয়। অভিযোগ, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তারা সেখান থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সেখান থেকে নিয়ে যায়। বিজেপির তরফে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হলেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দাবি ওই পঞ্চায়েত এ🐬লাকায় দুর্নীতির কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার জানান,🔥 ‘খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সত্যি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিতোষ রায়ের দাবি, ২০১৮ থেকে ২০২১ অর্থবর্ষে পঞ্চায়েতের ১৩টি বুথে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। এই প্রকল্পে বিভিন্ন কাজ যেমন পুকুর খনন, বাগান তৈরি সহ সমস্ত কাজে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। তিনি এই সমস্ত বিষয় তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে পেরেছেন। দল তাঁর ক༺থা শুনতে চায়নি বলে অভিযোগ। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান যমুনা বর্মণ। অন্যদিকে, রায়গঞ্জের বিডিও 🎃শুভজিৎ মণ্ডল দাবি করেছেন, কেন্দ্রের তরফে কাজের বকেয়া টাকা দেওয়া হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, এদিন প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ওই পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি মেহগনি ও কলাবাগান তাঁরা খতিয়ে দেখেন। কিন্তু এরজন্য মজুরি বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা।