কয়েকদিন আগে চপ ভেজেছিলেন। এবার হাত লাগালেন চাষের কাজে। রীতিমতো ট্রাক্টর চালিয়ে চাষের জমিতে কাজ করে মুখ্যমন্♑ত্রীকে পাল্টা জবাব দিলেন বাঁকুড়ার বিজেপ𓆏ি বিধায়ক নীলাদ্রীশেখর দানা। তিনিও যে কৃষক পরিবারের সন্তান তা বোঝাতেই এই পদক্ষেপ। যদিও পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। সব মিলিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? দু’দিন আগে দুর্গাপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন, ‘পারলে মাঠে গিয🦂়ে মানুষের সঙ্গে হাত লাগিয়ে ধান কাটুন৷ কারা কারা ধান কাটতে পারেন? একটু হাত তুলুন তো দেখি৷ অবশ্য পূর্ব বর্ধমান জেলার অনেকেই পারবেন, আমি জানি৷ আমি ধান পুঁততেও পারি। কাটতেও পারি।’
কী করলেন বিজেপি বিধায়ক? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরই শুক্রবꦐার বাঁকুড়ার এক নম্বর ব্লকের গোড়াবাড়িতে চাষের খেতে চলে যান বিজেপি বিধায়ক। চাষিদের কায়দাতেই লুঙ্গি পরে ট্রাক্টর নিয়ে নেমে প🐭ড়েন ধান খেতে। তোলেন ধানের চারা। মাঠে বসেই নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, ‘বিধায়করা মাঠে নামুন, চাষিদের সহযোগিতা করুন। আমি নিজেই চাষি, চাষির ছেলে। দেখে নিন কীভাবে চাষ করতে হয়, ঠিক এভাবেই ❀বীজ তুলতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিধায়করা ঘরে বসে থাকলে চলবে না। আমি সব পারি, ধান কাটতে, ধান লাগাতে, বীজ তুলতে, আমার মতো কেউ পারবে না মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। আমি আজ মুখ্যমন্তℱ্রীকে দেখিয়ে দিলাম একটু।’
কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? বিজেপি বিধায়কের এই কীর্তিকলাপ দেখে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ব🐻িষয়ে বাঁকুড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কৃষক দরদী, তাই উপায় না দেখে বিজেপি বিধায়ক চাষের জমিতে নেমে পড়েছেন।’ অর্থাৎ নিজেদের দিকে ঝোল টেনཧে ফায়দা তোলার চেষ্টা বোঝাতেই এই কাজ বলে মনে করছেন তিনি।