লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ–বিজেপি কপালে জুটেছে ভরাডুবি। যা তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। ১৮টি আসন থেকে একাবারে ধপাস করে পড়েছে ১২টি আসনে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন এবং দুর্নীতির কথা বললেও মানুষের ভোটে ২৯টি আসন জিতেছে ঘাসফুল শিবির। এমনকী উত্তরবঙ্গের কোচবিহার আসনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে পরাজিত কꦦরে জয় ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে আর যাতে উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভাঙন না ঘটে তার জন্য বাংলা থেকে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলতে শুরু করেছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাংসদরা। আর তাতেই দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বারবার বেআব্রু হয়ে পড়েছে। কারণ এই নিয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান ভিন্ন মেরুতে পৌঁছেছে। তার পর এবার গোঁদের ꩲউ⛄পর বিষ ফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে বঙ্গভঙ্গ বিষয়ক দলীয় মতপার্থক্য। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নে রাজ্যের উত্তরের ৮টি জেলাকে উত্তর–পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। সরাসরি যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। পাল্টা বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র দাবি করেছেন, ‘দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা, নদিয়া জেলার উত্তর–ভাগ এবং গোটা মালদা–মুর্শিদাবাদ জেলাকে নিয়ে গড়ে তোলা হোক পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।’
আরও পড়ুন: ভাল্লুকের দেহাংশ পাচারের ছক বানচাল করল বন দফতর, বাগডোᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚগরায় চলল🤪 গোপন অপারেশন
লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের পর এখন উত্তরবঙ্গকে আগলে ধরে পৃথক কেন্দ্র শাসিত 🎶অঞ্চল গড়ার দাবি তুলছেন বিজেপি নেতারা। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত পাঁচজন বিজেপি সাংসদ এবং দু’জন বিজেপি বিধায়ক বাংলাকে ভাগ করার দাবি তুলেছেন। এটা পরাজয়ের পর নতুন কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য♎ায় এই বিষয়ে সরব হয়েছেন। বাংলাকে ভাগ করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকী এই ঘটনা ঘটাতে গেলে বাংলায় আগুন জ্বলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তারপরও বিজেপি নেতাদের এমন দাবি কিছুতেই থামছে না। সুতরাং রাজ্যজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।