ভোটের আগেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন। ভোট মিটতে ফের একবার দলের বিরুদ্ধে সরব হলেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শ🐲র্মা। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি 🅘বলেন, দলে বিধায়কদের কথা শোনা হয় না। এমনকী ক্ষমতা থাকলে দল তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - দুর্নীতি করে টাকা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের চাকরি ছাড়তেই হবে: স❀ুকান্ত
পড়তে থাকুন - মমতার ঔদ্ধত্যেই রাজ্যে থমকে বন্দর তৈরির কাজ:✅ জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর
বুধবার কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়༺ক বলেন, ‘রাজ্য বিজেপিতে বিধায়কদের কথা শোনা হয় না। আমি দিলীপ ঘোষকে বলেছি। সুকান্ত মজুমদারকেও বলেছি। কোনও কাজ হয়নি। এখানে নীচের তলার সংগঠন ধসে গিয়েছে। কিন্তু তাতে কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। মোদী হাওয়ায় ভোটে জিতে কয়েকজন নিজেদের নেতা বলে ভাবতে শুরু করেছেন। রাজ্য বিজেপির যে সব ভার্চুয়াল বৈঠক হয় সেখানে সেই নেতারাই বলে যান। অন্য কাউকে কিছু বলতে দেওয়া হয় না। এবার বিজেপির ৩ – ৪ শতাংশ ভোট কমেছে। এভাবে চলতে থাকলে পরের ভোটে এই কটা আসনও জুটবে না। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে ভোটে জিতেছেন সেটাও সম্মানজনক নয়।’
বিষ্ণুপ্রসাদের চ্যালেঞ্জ, ‘দল আমার বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত যে সর্বসম্ꦕমতিতে হয়।’
আরও পড়ুন - অপহরণ,ꦡ মারধর, হুমকিসহ একাধিক অভিযোগ, সোহমের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে বিজেপি
বিষ্ণুপ্রসাদের বিদ্রোহে অস্বস্তিতে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘উনি দলের গঠনতন🉐্ত্রের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারছেন না বলে মনে হচ্ছে। বিজেপিতে বিদ্রোহ বলে কিছু হয় না। এখানে বিদ্রোহ করলে বিলীন হয়ে যেতে হয়। ওনার কিছু বলার থাকলে দলের মধ্যে বলতে পারেন। ওনার প্রতি সম্মান জানিয়েই বলব। উনি সিনিয়র মানুষ। তাই যেন প্রকাশ্যে এসব কথা না বলেন।’
এই নিয়ে শিলিগুড়ির ⭕বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘বিষ্ণুদা তো ভোটের আগে থেকেই একটু ক্ষুব্ধ ছিলেন। তার পরেও দার্জিলিংয়ে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্ত আগের থেকে বেশি ভোটে জয়লাভ🔥 করেছেন। পাহাড় ও সমতলের মানুষ দু'হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। উনি হয়তো গোটা রাজ্যে দলের ফলে ব্যথিত। আমরা ওনার সঙ্গে কথা বলব। বিষ্ণুদা নিশ্চই বুঝবেন বলে আশা করি।’