কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন রানাঘাট লোকসভা বিজেপি সাংসদꦉ তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জগন্নাথ সরকার। বুধবার এইমসের মূল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রীতিমতো সংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ তুললেন তিনি। তাঁর অভিযোগের তির এইমস কর্তৃপক্ষ ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর নি💮য়োগকারী ঠিকাদার সংস্থার রাজ্য কন্ট্রোলার (নিয়ন্ত্রক) বিজয় ঝা-র বিরুদ্ধে।
জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ, নিয়োগের বরাতপ্রাপ্ত সংস্থায় পরীক্ষা ছাড়াই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। দিনমজুর হিসাবে তাঁদের একটি সম্মানিক দেওয়া হয়। তিনি বলেন,'নিয়োগে স্বজনপোষণ করছেন ঠিকাদার সংস্থার রাজ্য নিয়ন্ত্রক বিজয় ঝা। এইমসে স্থানীদের না নিয়ে বাইরে থেকে নিজেদের আত্෴মীয়স্বজন নিয়ে এসে কাজে ঢোকানো হচ্ছে।' তাঁর আরও অভিযোগ,'বেশ কয়েক জনকে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হচ্ছে।' তিনি এই ধরনের নিয়োগ খতিয়ে দেখার দাবি তোলেন।
এর আগে কল্যানী এইমসে নিয়োগ দুনীর্তি নিয়ে অভিযোগ তোলেন মুর্শিদাবাদের হরিহর পাড়ার এক যুবক। গত মে মাসে কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগে নাম ছিল জগন্নাথ সরকারেরও। এছাড়া বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার.চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, বাঁকুড়ার বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা, তাঁর মেয়ে মৈত্রী দানা,বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য দীপা বিশ্বাস ও এমসের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা রামজি সিংহের নাম এসেছিল। তাঁদের প্রতারণা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধি🀅ক ধারায় মামলা রুজু হয়।
বঙ্কিম ঘোষের বৌমা অনুসূয়া ঘোষ এবং নিলাদ্রী শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা এইমসে ঠিক🐼াদার সংস্থার মাধ্যমে কাজ পেয়েছিলেন। অভ💙িযোগ, দুই বিধায়ক এঁদের প্রভাব খাটিয়ে কাজে ঢুকিয়ে ছিলেন। সিআইডি এই মামলার তদন্ত শুরু করে। এরই মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন জগন্নাথ সরকার।
নিয়োগকারী ঠিকাদার সংস্থার রাজ্য কন্ট্রোলার (নিয়ন্ত্রক) বিজয় ঝা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। উল্টে তাঁর অভিযোগ সংসদের সুপারিশ করা প্রার্থীকে নেওয়া হয়নি ♛বলেই তিনি দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলছেন। তিনি জানান, কম্পিউটারের ভুলে সেটা হয়ে যায় ১৪টি শূন্য পদ হয়ে যায় ৩২টি। কিন্তু বাস্তবে ৩২টি শূন্যপদ না থাকায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শূন্যপদে কর্মী নিয়ে বাকিদের অপেক্ষার তালিকায় রাখা হবে। তাঁর দাবি, এঁদের মধ্যে জগন্নাথ সরকারের চার জন প্রার্থী রয়েছেন। তাই ক্ষুব্ধ সাংসদ।