এবার বাংলা থেকে সরে যেতে চাইছেন বাংলার জামাই তথা বিজেপি সাংসদ। একদা তিনি দার্জিলিংয়ের সাংসদ ছিলেন। অধুনা তিনি বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ। এখানে একটা মিল রয়েছে। সেটা হল— তখনও তাঁর টিকি মিলত না। এখনও তাঁর দেখা পাওয়া যায় না। আর এই অভিযোগ একা বিরোধীরা তুলছেন এমনটা নয়। এই অভিযোগ তুলছেন তাঁর দলের নেতা–কর্মীরাও। হ্যাঁ, তিনি বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ꧑্রের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্রজিৎ সিং আলুওয়ালিয়া। এখন তিনি বাংলার বাইরে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।
কেন এমন ইচ্ছা বিজেপি সাংসদের? বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্রজিৎ সিং আলুওয়ালিয়া নিজেও এটা খুব ভাল বুঝে গিয়েছেন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ছবি ফিরবে না ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। তাঁর পরাজয় বাংলায় নিশ্চিত। আর তাই এখন তিনি বাংলার জামাই হয়েও বাংলা ছেড়ে পালাতে চাইছেন। বাংলার কোনও লোকসভা আসন থেকে দাঁড়াতে চাইছেন না। বাংলার মানুষের পাশে তাঁকে দেখা যায়নি (আগে–পরে)। বরাবরই তিনি নীবর থেকেছেন। লোকসভা অধিবেশনেও বড় কোনও ভূমিকা নেই। বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। এমন🐭কী কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বড় প্রকল্পও আনতে দেখেননি বলে অভিযোগ মানুষজনের।
কোথা থেকে দাঁড়াতে চান আলুওয়ালিয়া? তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারিকা থেকে তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান এইꩲ বিজেপি সাংসদ। কারণ সেটাকেই নিরাপদ আসন বলে তিনি মনে করছেন। সম্প্রতি তিনি নিজেই তাঁর এমন ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন। আর সেই ইচ্ছার কথা বাইরে আসতেই এখন রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আলুওয়ালিয়া ভরা বাজারে বুঝিয়ে 🍎দিয়েছেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার বুকে বিজেপির সেভাবে কোনও আশা নেই। নিজের হারও প্রায় নিশ্চিত তিনি বুঝেছেন। যতই অমিত শাহ বারবার বাংলায় এসে টার্গেট বেঁধে দিয়ে যান না কেন, জেতা আসনও ধরে রাখা মুশকিল বলে তাঁর মন্তব্য তেকে মনে করা হচ্ছে। এটা এতদিন বাংলার একটা বড় অংশের মানুষজন বলতেন। এবার সেটাই ঘরের লোক হয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর তাতেই বিজেপির সব থেকে বড় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।