বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনার দুই মূল চক্রীকে কাঁথি থেকে গ্রꦑেফতার করা হয়েছে। তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গেল। বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য দাবি করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। পালটা ঘুরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেন যে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আশ্রয় দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর পরিবার। সেই রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে মালব্যকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। আর সেই অপারেশনে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ভূমিকার ঢালা প্রশংসাও করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পুলিশের তরফে মালব্যের টুইটকে ‘মিথ্যারও নির্জ্জলতা।’
কাঁথি থেকে গ্রেফতার
গত ১ মার্চ রামেশ্বরম ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, আইসিসের সঙ্গে যোগ থাকা কয়েকজনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিস্ফোরণ চালিয়েছিল মুসাভির হুসেন শাজিব♔। আর পুরোটার মাস্টারমাইন্ড ছিল আবদুল মাথিন তাহা। ওই দু'জনকে কღাঁথি থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, তেলাঙ্গানা পুলিশ, কর্ণাটক পুলিশ এবং কেরল পুলিশের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
মালব্যের আক্রমণ
তারপরই বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান বলেন,ꦍ ‘রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই মূল সন্দেহভাজন💞কে আটক করেছে এনআইএ। কলকাতা থেকে বোমারু মুসাভির হুসেন শাজিব এবং সহযোগী আবদুল মাথিন তাহাকে ধরা হয়েছে। দু’জনেই কর্ণাটকের শিবমোগার আইসিসি সেলের সঙ্গে যুক্ত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে।'
নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ কুণালের
কুণাল বলেন, 'এনআইকেও মানতে হল রাজ্য পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার কথা। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে জড়িত বলে তারা যে গ্রেফতার করেছে, তাতে তাদের প্রেস রিলিজেও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতার উল্লেখ (করা হয়েছে)। আর কোথা থেকে ধরেছে? কাঁথি। সবাই জানে সেখানে কোন পরিবার দুষ্কৃতীদের আনে, আশ্রয় দেয়। এসব ক্ষেত্রে তাদে💃র ভূমিকার তদন꧋্ত হোক। বাংলার পুলিশ দেশবিরোধী অশুভ শক্তিকে দমন করতে অবিচল এবং অন্য এজেন্সিকে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত, আবার প্রমাণিত।'
পালটা শুভেন্দুর
🍒যদিও তৃণমূলের সেই আক্রমণকে পাত্তা দেননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘আমি এটা জেনেছি। কাঁথি আমার হোম টাউন। পশ্চিমবঙ্গ যে আ﷽ন্তর্জাতিক অপরাধীর মুক্তাঞ্চল, সেটা আগেও প্রমাণিত। পঞ্জাব পুলিশ চপারে করে এখানে এসে পঞ্জাবের দুষ্কৃতী এনকাউন্টার করেছে।’