প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বঙ্গ সফরের দিন গত ৬ মার্চ নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল বিজেপি। তবে সেই 🐽ঘটনায় এবার নন্দীগ্রামের দুই বিজেপি নেতাকে সাসপেন্ড করল দল। তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার জন্যই তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। জানা গিয়✅েছে, স্থানীয় বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল ও গোপাল প্রধানকে দল থেকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতাকে মারধর, পালটা বিজেপ💯ির পꦍার্টি অফিসে আগুন, উত্তপ্ত খানাকুল
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভা রয়েছে। এই উপলক্ষে গত ৬ মার্চ মহেশপুরে তৃণমূলের তরফে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভা শেষে বৃন্দাবনপুরের দিকে যাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। তখনই তাদের উপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অশোক দাস এবং ভরত দাস। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে চলে তাদের চিকিৎসা। এরপর এই ঘটনার প্রতিবাদে মহেশপুরে রাস🍷্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় উপস্থিত ছিলেন, তমলুক সংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি আসগর আলি, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ এবং শেখ সুফিয়ান সহ অন্যান্যরা। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও তৃণমূল সরব হয়। তাদের তরফে অভিযোগ তলা হয়েছিল, শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। তাঁর নেতৃত্বে সেখানে দৌরꦺাত্ম্য বাড়ছে।
যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব প্রথমদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। তাদের দাবি ছিল, কিছু মানুষ শ্মশান থেকে ফিরছিলেন। তাদের সঙ্গে তৃণমূলের কর্মীদের বচসা হয়। এর পরেই তাদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মারপিট বাঁধে। তৃণমূল পরিকল্পনভাবে বিজেপির উপর মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়েছে বলে গেরুয়া শিবিরের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তবে অভিযোগ অস্বীকার🌃 করলেও পরে এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দুঃখ প্রকাশ করে । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল জানান, এই ঘটনার জন্য দুজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।