ফিল্মি কায়দায় বি⛦রোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের অপহরণ করেও শেষরক্ষা হল না। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার বিধানসভার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। শনিবার কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়। ১৯ আসনের পঞ্চায়েতে ১১টি ভোট পেয়ে প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির মনোনীত সদস্য।
গত ২৭ জুলাই রাতে কলকাতা লাগোয়া পঞ্চসায়রের ভাড়া বাড়ি থেকে কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের বিজেপির ৩ জন ও ১ জন জয়ী নির্দল প্রার্থীকে বন্দুক দেখিয়ে অপহরণের অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান বাপি হালদারেꦆর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে শোরগোল শুরু হলে ৩০ জুলাই সকালে তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের কবলে থাকাকালীন তাঁদের দিয়ে জোর করে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছে ও শেখানো বুলি আউড়ে তাকে বয়ান বলে ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অপহৃতরা। এর পর নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে যান পঞ্চায়েতের বিরোধী ১১ জন জয়ী প্রার্থী। কলকাতা হাইকোর্ট তাদের নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশের পর শুরু হয় নতুন খেলা। ꦑগত ১০ অগাস্ট এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের কথা থাকলেও প্রশাসনের তরফে পুলিশকর্মীর অপ্রতুলতার কথা জানিয়ে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। পালটা আন্দোলনে নামে বিজেপি। এর 🐈পর বোর্ড গঠনের জন্য ১৯ অগাস্ট ধার্য হয়।
শনিবার বোর্ড গঠন উপলক্ষ্যে কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের সামনে ছিল ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা। হাজির ছিলেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও। ১৯ আসনের পঞ্চায়েতে বিজেপি দখল ক🍎রেছে ১০টি। তৃণমূল দখল করেছে ৫টি, আইএসএফ দখল করেছে ৩টি, ও নির্দল দখল করেছে একটি আসন। পরে নির্দল প্রার্থী বিজেপিতে যোগদান করেন। এর ফলে বিজেপির সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে শনিবার প্রধান হন বিজেপির মনোনীত সদস্য।