২০১৯ সালে রাজ্যের ৪২টি লো𝓰কসভা আসনের মধ্যে ১৮টি দখল করেছিল বিজেপি। তবে এরপর থেকে বিধানসভা ও বিভিন্ন উপনির্বাচনে হারের মুখোমুখি হতে হয়েছে দলকে। দল ছেড়েছেন একাধিক সাংসদ, বিধায়ক। এই আবহে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিল বিজেপি। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৭টিকে পাখির চোক করে এগোতে চায় গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বাকি পাঁচ লোকসভা আসন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। তাই সেগুলি জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ ধরেই এগোচ্ছে বিজেপি। এই আবহে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাংলায় পাঠাতে চলেছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হায়দরাবাদে সম্পন্ন হয় বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, সবার মুখেই ছিল বাংলার কথা। ২০১৯ সালে যে আসনগুলিতে বিজেপি জিততে পারেনি, তার মধ্যে থেকে ১৪৪টি আসন চিহ্𝔍নিত করে তার উপর নজর দেওয়ার কথা বলা হয় কর্মসমিতির বৈঠকে। সূত্রের খবর বাংলার ১৯টি আসন 🦩রয়েছে সেই তালিকায়। এই আসনগুলিতে দলের ভিত শক্ত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
জানাꦅ গিয়েছে, কর্মসমিতির বৈঠকের আগে থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বাংলার বিভিন্ন আসনে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। এই আবহে মোদী, শাহের বার্তার পর সেই কাজের গতি বাড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবারই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় আইন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী এসপি সিং বাঘেল। তিনি মথুরাপুর ও আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র দুটি ঘুরে দেখবেন। উল্লেখ্য, দক্ষ সংগঠন হিসাবে পরিচিত বাঘেলের ঘাড়ে এই দুই আসনের দায়িত্ব পড়েছে। তাছাড়া স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, বীরেন্দ্র কুমারের মতো মন্ত্রীরাও জুলাই মাসে রাজ্যে পা রাখতে পারেন। স্মৃতি ইরানিকে দেওয়া হয়েছে হুগলি ও এর আশেপাশের কেন্দ্রের দায়িত্ব। প্রতিমা ভৌমিক, পঙ্কজ চৌধুরির মতো রাষ্ট্রমন্ত্রীরাও রাজ্যে আসতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সফর শেষে সব মন্ত্রীরাই বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাকে রিপোর্ট জমা দেবেন। এরপরে আরও মন্ত্রী ধাপে ধাপে রাজ্যে আসতে শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে।