বনগাঁর বিধায়ক বিশ্🥃বজিৎ দাস বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন। আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিলেন। বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আবার ফেরত এসেছেন। এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। সুতরাং তাঁর ক্ষমতা এবং দায়িত্ব দুই–ই বেড়েছে। কিন্তু তিনি বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন। সুতরাং বিশ্বজিৎ দাসের রাজন♏ৈতিক অবস্থান ঘিরে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
তিনি কোন দলে😼 আছেন? এই প্রশ্ন মঙ্গলবার সাংবাদিকরা করলে সপাটে জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের কোনও দল হয় না।’ তারপরই তিনি নিজেকে ‘তৃণমূল কংগ্রেসেরই লোক’ বলে দাবি করেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস। ২০১৯ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কখনও তিনি নিজেকে বিজেপি বিধায়ক বলেছেন। আবার কখনও তিনি নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের লোক বলে দাবি করেছেন। তাই তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঠিক কী বলেছেন বিশ্বজিৎ দাস? মঙ্গলবার বারাসতে এসে তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধির কোনও দল হয় না। জনপ্রতিনিধিদের সার্টিফিকেট থাকে, সেখানে বিধায়কের সার্টিফিকেটে লেখা থ꧋াকে না বাম, তৃণমূল, না বিজেপি। বাম, তৃণমূল, বিজেপি সবার মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়✱। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র মোদী। সেই জ🐲ায়গা দাঁড়িয়ে যাঁরা জনপ্রতিনিধি, তাঁরা সকলের। তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হলাম কারণ আমি তৃণমূল কংগ্রেসেরই।’
ঠিক কী বলছেন বিরো🐼ধীরা? এই মন্তব্যের পর সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপির বিধায়ককে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করে নয়াদিল্লিতে ভোট দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ সুজনের মন্তব্য শুনে পাল্টা বিশ্বজিৎ বলেন, ‘সিপিআইএম–কে দূরবীন দিয়েও দেখা যাচ্ছে না। ৩৪ বছরের একটা দল যাকে দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে। ওদের একজন বিধায়ক পর্যন্ত নেই। তাই সেই দল কী বলল তা নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই।’