নাগাড়ে কদিন বৃষ্টি হচ্ছে। আর তার জেরে কংসাবতী নদীর জল বেড়ে উঠেছে। এই জল বেড়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়ল ওলালগড় ব্লকের বসন্তপুর এলাকার ফেয়ার–ওয়েদার সেতু। এই সেতু ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল বসন্তপুর এবং লালগড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাতে সমস্যায় পড়েছেন ২০টির বেশি গ্রামের মানুষজন। যে রাস্তা সেতু উপর দিয়ে পার হয়ে যাওয়া যেত এখন সেটি ভেঙে যাওয়ায় ২০ কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হচ্ছে লালগড়। ফেয়ার–ওয়েদার সেতু না ভাঙলে ৬–৮ কিলোমিটার গেলেই লালগড় পৌঁছে যাওয়া যেত।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, গত তিনদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। তার জেরে এই ফেয়ার–ওয়েদার সেতু ভেঙে পড়েছে। যেটা এখানকার মানুষজনের যাতায়াত করার অন্যতম লাইফলাইন। সেটা ভেঙে যাওয়ায় গ্রামের পর গ্রাম 𓂃যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময় নদী পারাপার করা হতো নৌকার মাধ্যমে। সেই নৌকা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে হাতির দল। তার 🐻জেরে যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকজন গ্রামের বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ফেয়ার–ওয়েদার সেতু ভেঙে যাওয়ায় বেশি সমস্যায় পড়েছেন স্কুল–কলেজের পড়ুয়ারা। জলস্তর বাড়ছে। কিন্তু নদীর পাড়ে এসে হাতির দল একমাত্র নৌকা ভেঙে দেয়। তাই এখানে একটি স্থায়ী সেতু গড়ে তোলা হোক।’
এদিকে প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রত্যেক বছর বর্ষায় কংসাবতী নদী ফুঁসে ওঠে। এই বছরও সেটাই হয়েছ🦄ে। এখানে সোমবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি হয়েছে। তাই সুবর্নরেখা, কংসাবতী, ডুলুং নদীর জলের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। আর এই জলের তোড়ে গোপীবল্লভপুর–১ ব্লকের আমরদা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনবনী এবং জানাঘাঁটিꦬ গ্রামের মধ্যে সংযোগকারী ফেয়ার–ওয়েদার সেতু ভেঙে যায়। ফলে বহু কিমি রাস্তা ঘুরপথে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আবার সারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামসুন্দরপুর এবং চোরচিতা গ্রামের মধ্যে সংযোগকারী ফেয়ার–ওয়েদার সেতু ভেঙে পড়ায় গোপীবল্লভপুর–১ ও গোপীবল্লভপুর–২ ব্লকের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ꧙্ট হয়ে মাটিতে পড়ল খুদে হনুমান, দৌড়ে ঘটনাস্থলে এলেন চুঁচুড়ার কাউন্সিলর
অন্যদিকে এবার কংসাবতী নদীর উপর বসন্তপুরের সেতু ভেঙে পড়েছে। তার জেরে ডিংলা, কদমখান্🦹ডি, বহড়াবনী, নরেন্দ্রপুর এবং বামাল–সহ একাধিক গ্রামের মানুষ যাতায়াতের সমস্যায় পড়েছেন। এই সেতুর উপরই নির্ভর করতেন গ্রামের বাসিন্দারা। বাঁশের তৈরি সেতুর উপর দিয়ে সারাদিনে সাইকেল–মোটরবাইক যাতায়াত করত। এই আবহে গালুডি জলাধার থেকে প্রায় দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বিপর্যয় তাতে আরও বেড়েছে। এখন কন্ট্রোল রুম খোলার কথা ভাবা হচ্ছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে স্পীড বোট পাঠানো হচ্ছে। এই গোটা বিষয়ে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘প্রশাসন সব দিকের উপর নজর রাখছে। সাধারণ মানুষকে সমস্যা থেকে বের করে আনতে খেয়াল রাখা হচ্ছে।’