আজ, বিজয়া দশমী। দুর্গাপুজো শেষে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। ভারত–বাংলাদেশের সীমান্ত টাকিতে দেখা যাবে দুই দেশের মানুষের প্রাণের মেলবন্ধন। তাই দুই দেশের বাঙ𒅌ালিদের কাছে এই দিনটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই ইছামতীতে প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে দুই বাংলার মানুষের মধ্যে এখন টানটান উত্তেজনা। কখন দেখা যাবে প্রাণের মানুষকে। এখানেই দেশ–বিদেশের মানুষ ভিড় জমান উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ইছ🐻ামতীর ধারে। আর তা নিয়েই বৈঠক সেরে নিলেন বিএসএফ–বিজিবি জওয়ানরা।
কেন এই বৈঠক করতে হল? আজ, প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই বৈঠক করেছে বিএসএফ–বিজিবি। টাকি পুরসভা–সহ বসিরহাট পুলিশ গো🦄টা এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছে। ইছামতীর রাজবাড়ি ঘাট, ঘোষবাবুর ঘাট, সৈয়দপুরের ঘাটে বাড়ানো হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় 🌜বিএসএফ ও বিজিবি ইছামতীর মাঝে পেট্রলিং করবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিক্যাল টিমও।
ঠিক কী হবে ইছামতী নদীতে? প্রত্যেক বছরই দশমীর দিন ইছামতী নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হয়। এটাই দুই দেশের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য। এই বিসর্জন দেখ𝄹তে বহু মানুষ আসেন বসিরহাটের টাকিতে। এখানেই ওপার বাংলার সঙ্গে এপার বাংলার মানুষের মেলবন্ধন ঘটে। আবার এপারের নাগরিকদের আত্মীয়স্বজন ওপারে থাকেন তাঁদের সঙ্গে বছরের এই দিনে দেখা হয়। আবেগ–অনুভূতিতে ভাসেন সবাই। এই বিপুল পরিমাণ মানুষকে সামলাতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তৎপর হয়ে ওঠে। তাই নিজেদে🐟র মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
ঠিক কী বলছে পুলিশ? ইছামতী নদীর মাঝে একটি দড়ি দিয়ে সীমারেখ💜া চিহ্নিত করে ফেলা হয়েছে। এই বিষয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশসুপার জবি থমাস কে বলেন, ‘ইছামতি নদীতে বিসর্জন ঘিরে সবরকম কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। দুই দেশের প্রতিমার নৌকা এবং দর্শনার্থীরা কেউ কারও সীমান্ত অতিক্রম করবে না। তা নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে বসিরহাট পুলিশের পক্ষ থেকে।’