এবারও শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলা হচ্ছে না। বিশ্বভারতী কর্ত𓂃ৃপক্ষের তরফে🌠 প্রথমে এই মেলা হবে বলে জানানো হলেও পরে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে এই মেলা বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেয় দুপক্ষ। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের পরেই শান্তিনিকেতনবাসী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। পৌষমালার দাবিতে মঙ্গলবার দিনভর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষজন, ব্যবসায়ীদের সংগঠন পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি। এ দিন বিক্ষোভ চলাকালীন নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: এবারও হচ্ছে না পৌষমেল꧙া, বৈঠকের পর জানাল বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট
বিক্ষোভকারীদের দাবি, পূর্বপল্লীতেই পৌষমেলা করতে হবে। এই দাবি জানিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি। কিন্তু তাতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাতেই দু পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তারইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের বলাকা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। যদিও সেইসময় কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সহ কর্মসচিব ছিলেন না। এদিন বিক্ষোভকারীদের হাতে বড় ব্যানার দেখা যায়। তাতে লেখা ছিল, পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি। এদিন বিক্ষোভকারীদের একজন কবিগুরু মার্কেটের ব্যবসায়ী আমিনুল হোদা অভিযোগ করেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অসহযোগিতা করেছে। তারা যাতে ডেপুটেশন জমা দিতে না পারে তার জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভিতর তালা দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যৌথ ভাবে বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেয়, এবারও হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। তারপর থেকে শান্তিনিকেতনের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। আমিনুল হোদা বলেন, ‘বিশ্বভারতী শুধুমাত্র পূর্বপল্লীর মাঠটা দিলেই 𒆙শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, রাজ্য সরকারের সাহায্যে মেলা হবে। হাতে এখনও সময় আছে। তাই আমরা আশাবাদী।’
২০১৯ সালে শেষ বার শান্তিনিকেতনে হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ ছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে, অর্থাৎ ২০২১ ও ২২ সালে প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রব🦩র্তী পৌষমেলা বন্ধ করে দেন। তবে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তাই এবার বোলপুর-শান্তিনিকেতনবাসীরা আশা করেছিলেন এবার হয়তো পৌষমেলা হবে। এদিন জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, এস এস ডি এ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন ব্যবসায়ীরা।