আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ইতিমধ্যেই সব রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে। এবার মনোনয়নপত্র জমা দেন হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস। প্রꦕত্যেক রাজনৈতিক দলই এখন প্রচারের কৌশল ঠিক করছেন। সোমবার থেকে প্রচারে নেমে পড়বেন সকলেই। সেখানে বিজেপি কার্যালয়ে স্বাভাবিক ছবি দেখা গেল না। বিজেপি কর্মীদের একাংশ নিজেদের পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয়, হাড়োয়া, দেগঙ্গা এবং বারাসত ২ নম্বর ব্লকে ১০টির বেশি বিজেপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তা নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল? জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, প্রার্থী পছন্দ হয়নি জেলার নেতা–কর্মীদের। তাই ক্ষোভে–রাগে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা– কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, এই প্রা𒊎র্থী টাকার বিনিময়ে ঠিক করা হয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও কথা বলা হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তাপস ঘোষকে দায়ী করা হয়েছে। কর্মীদের অভিযোগ, প্রার্থী বিমল দাসকে এলাকার মানুষের সাহায্যে দেখা যায় না। কোনও কর্মসূচিতেও দেখা যায়নি। এই বিষয়ে দেগঙ্গার মহিলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জলি মজুমদার বলেন, ‘যে প্রার্থী এলাকার মানুষের পাশে থাকেন না, পঞ্চায়েতে একটিও বুথে প্রার্থী দিতে পারেন না, তাঁকে কেমন করে বিধানসভার টিকিট দেয় দল?’
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা ঠেকাতে নয়া পদক্ষেপ করল কলকাতা মেট্রো, কেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে?
হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী। সেখানে পরিচিত মুখকে প্রার্থী করা না হলে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাওয়া বিড়ম্বনার। এই বিষয়ে বিজেপি সভাপতি তাপস ঘোষের বক্তব্য, ‘বিজেপির কোর কমিটি এবং নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই নাম পাঠানো হয়েছিল। রাজ্য–কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাতে সিলমোহর দিয়েছে। এমন মন্তব্য করা ঠিক নয়।’ এখন যা পরিস্থিতি তাতে খুশি তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের প্রার্থী তেমন হেভিওয়েট নয়। আর বিজেপির অন্দরে কোন্দল। দেগঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরূপ বিশ্বাসের কথায়, ‘বিজেপির প্রার্থꦫ𝕴ীর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে গ্রামবাসীদের। হাড়োয়ায় বিজেপির লোক নেই। বিজেপির অফিসে তাই তালা পড়েছে।’