আসন্ন বিধানসভার উপনির্বাচনে এবার সিতাই কেন্দ্রটি চর্চায় উঠে এল। দীপককুমার রায় বনাম দীপককুমার রায়ের লড়াই হতে চলেছে। আর তা নিয়ে এখন থেকে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কার✱ণ একই নামে দুই ব্যক্তি উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই দুই নেতারই বাড়ি সিতাই ব্লকে। সিতাই বিধানসভা উপনির্বাচনে দু’জনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একজন দীপককুমার রায় বিজেপির প্রার্থী। আর একজন দীপককুমার রায় নির্দল প্রার্থী। একই নামে দু’জন প্রার্থী হওয়ায় বিজেপির ভোট কাটতে পারে নির্দল বলে মনে করছেন অনেকে। তবে বিজেপি প্রার্থীর দাবি, ভোট প্রতীক দেখে হবে। তবে জোরদার লড়াই হবে বলে জানান নির্দল দীপক।
আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে। তা নিয়ে এখন থেকেই জোরদার প্রচার 💙শুরু হয়েছে। এবার উপনির্বাচন চতুর্মুখী লড়াই। তার সঙ্গে নির্দল প্রার্থী থাকায় চাপ বাড়ছে। সেখানে একই নামের দুই প্রার্থীর জেরে বিভ্রান্✅তি তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিনোদকুমার রায়ের ছেলে দীপককুমার রায়। তিনি এবার নির্দল প্রার্থী। সিতাই ব্লকের বত্তরে বাড়ি নির্দল দীপকের। তার উপর আবার পেশায় কৃষক। চামটা আদর্শ হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে রাজনীতির ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এবার প্রথম।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, একাদশ শ্রেণির সেমিস্টারের ক্ষেত্রে কী হবে?
সেখানে বিজেপির দীপককুমার রায় রাজনীতির ময়দানে পরিচিত মুখ। পেশায় শিক্ষক তিনি। ছাত্র থাকাকালীন রাজনীতিতে যোগদান করেন। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে প্রার্থী হন সিতাই কেন্দ্র থেকে। কিন্তু পরাজিত হন। তারপর ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন বামেদের পক্ষ থেকে। তখনও পরাজিত হন। ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। এমনকী ২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে সিতাই বিধানসভ🦹া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফলাফল একই—পরাজিত। এবার চতুর্থবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বিপক্ষে একই নামের নির্দল প্রার্থী।