আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে বাংলায়। আর তাই ৬টি কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করে💙ছে বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট। কংগ্রেস এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। এবার বাম–কংগ্রেস জোট হচ্ছে না। এই আবহে এবার ৪০ জন তারকা প্রচারকের নামের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারকা প্রচারকের তালিকায় সবার উপরে নাম রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য বিধায়ক–সাংসদরা। তবে কবে থেকে প্রচারে নামবেন তাঁরা সেটা এখনও জানানো হয়নি।
নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই উপনির্বাচনের প্রচারে নামবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা– নেত্রীরা। ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে চোখের অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন অভিষেক। তাই তিনি আমেরিকায় আছেন। কদিনের মধ্যেই ফিরবেন তিনি। তারপর একটু বিশ্রাম নিয়েই সোজা চলে যাবেন বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে। সেখান থেকে চলবে প্রচার। সদ্꧂য কেটে গিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের অচলাবস্থা। তাতে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন সকলেই। এই ইস্যুকে কাজে লাগাতে চাইছে সিপিএম এবং বিজেপি। তবে বিজেপি উপনির্বাচনে প্রথমসারির রাজ্য নেতাদের প্রচারে নামাচ্ছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: বাবা–মেয়েকে কলকাতার রাজপথে পিষে দিল ট্যাক্সি, মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু দু’জনের
এবার উপনির্বাচন হবে— হাড়োয়া, নৈহাটি, মাদারিহাট, সিতাই, মেদিনীপুর এবং তালডাংরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। একটি জেতে বিজেপি। উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার হতেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ৬টি আসনেই জিতবে তৃণমূল। ৬–০ হবে ফলাফল। এই কেন্দ্রগুলি থেকে বিধায়কদের সাংসদ পদে নির্বাচিত করে পাঠানোয় খালি হয় কেন♉্দ্রগুলি। তাই উপনির্বাচন হবে। তবে এই উপনির্বাচনকে একেবারে হালকা করে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে ছয় কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফলের উপর অনেকটা নির্ভর করবে ২০২৬ সালের ব🐬িধানসভা নির্বাচন।
মাদারিহাট কেন্দ্রে একমাত্র বিজেপির কিছু ভোটব্যাঙ্ক আছে। বাকি পাঁচটি কেন্দ্রেই শক্ত সংগঠন রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। সুতরাং মাদারিহাট ছাড়া আর কোনও কেন্দ্র নিয়ে চিন্তা নেই ঘাসফুল শিবিরের। উপনির্বাচনের প্রচারে উঠে আসবে কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন। তার উপর আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আবাসের প্রাপ্য টাকার প্রথম কিস্তি দিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। এই বিষয়টির উপর ভর করেই ভোট পড়বে জোড়াফুলে। এখন দেখ𒁏ার বিষয় এই হেভিওয়েট প্রচারকদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃ🐟ত্ব কোন বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে।