বলুন না আমি সর্বশক্তিমান। আমি যা চাইব তা করে দিতে পারি🅺। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম রাজ্য প্রশাসনকে এভাবেই বিঁধলেনꦆ। কিন্তু কীসের পরিপ্রেক্ষিতে একথা বললেন বিচারপতি?
আসলে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোল ২ ব্লকের আখরিগঞ্জ হাই স্কুলের খেলার মাঠ নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। এই মাঠটি স্কুলকে দান করেছিলেন এক ব্যক্তি। এদিকে সেই মাঠেই আরও একটি স্কুল♕ করতে চাইছে সরকার। আর এটা নিয়ে মামলা। মামলা করেছিলেন অভিভাবকরা। সেই মামলায় পাশে 𝔉রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষও। সেই জায়গাটি মাঠ হিসাবেই থাকুক। জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা। কিন্তু সরকার চাইছে সেখানে স্কুল তৈরি করতে।
সেই প্রসঙ্গে সরকারের তরফে বဣলাও হয়েছিল জায়গাটি সরকারের। সেক্ষ🎐েত্রে সেখানে কী হবে সেটা সিদ্ধান্ত সরকারই নিতে পারে।
তবে প্রধান বিচারপতি বলেন, স্কুলটি সরকার পরিচালিত হওয়ার পরেও সরকার তার বিরোধিতা করছ✤ে। ক্ষমতা দেখানো হচ্ছে?
এদিকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, খেলার মাঠের যে জমি রয়েছে তার পরিমাণ ১.৭৪ একর। সেখানেই তারা অর্থাৎ সরকারের তরফে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল༺ তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু এবার প্রশ্ন মাঠতে নষ্ট করে কেন স্কুল করার উদ্যোগ? স্কুল কি একটু অন্য কোথাও হতে পারে না?
তবে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, স্কুল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা খেলার মাঠের জন্য় নির্দিষ্ট করা জমি ছেড়ে দিয়ে করতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, দুটি স্কুলই হোক। দুই স্কুলের জন্য় এক একর জমি খেলার মাঠের জন্য়🦩 ছেড়ে দিন। জেনে আসুন কী করবেন। না হলে এই নির্মাণে আমি স্থগিতাদেশ দেব। জানিয়ে দিলেন বিচারপতি।
কার্যত মাঠটিকে বাঁচানোর জন্য় মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিলেন অভিভাবকরা। আদালতও এদিন সেই মাঠটিকে বাঁচ🌸ানোর কথাই জানিয়েছেন। সেই সঙ্গেই আদালতের তরফে প্রশাসনকে বিঁধে মন্তব্য করা হয়েছে। প্রশাসন কার্যত জানাতে চেয়েছিল মাঠটি সরকারের। সেখানে কী হবে সেটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার। আর এখানেই প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, স্কুল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা খেলার মাঠের জন্য় নির্দিষ্🌳ট করা জমি ছেড়ে দিয়ে করতে হবে।