গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজকে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। তাঁর সুরক্ষার যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে কেন গ্রেটার নেতাকে এভাবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হল। এনিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। তবে অনন্ত মহারাজের জন্য এই কেন্দ্রীয় ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তাকে ঘিরে অত্যন্ত খুশি গ্রেটার সমর্থকরা। এদিকে সংগঠন সূত্রে খবর, মহারাজার সুরক্ষার জন্൲য এতদিন নারায়নী সেনা বা গ্রেটার স্বেচ্ছাসেবকরা থাকতেন। প্রসঙ্গত এই নারায়নী সেনাকে ঘিরে বিগত দিনে নানা বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল অনন্ত মহারাজকে।
কোচবিহারের চকচকার বড়গিলা গ্রামে গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজের একেবারে প্রাসাদোপম বাসভবন। ভক্তদে🉐র কাছে এটিই নাকি রাজবাড়ি। তবে আলাদা রাজ্যের দাবিতে অতীতে বার বারই তিনি কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়তেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল বিজেপির একাধিক জনসভায়। এমনকী খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বা꧂চনের আগে কার্যত তাঁর মন পেতে অসমের বাসভবনে ছুটে গিয়েছিলেন।
তবে ইদানিং সেই গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্য়াসোসিয়েশনের কর্ণধার অনন্ত মহারাজের সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক নেতা যোগাযোগ রাখা শুরু করেছিলেন। গত ১০ই অগস্ট তাঁর বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি দাবি করেছিলেন মহারাজের শরীর সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন। তার আগে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়াও দেখা করেছিলেন তাঁর সঙ্গে। এদিকে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে বলেও জল্পনা ছড়াচ্ছিল। প্রশ্ন উঠছে সেই পথ আটকাতেই কি গ্রেটারের অনন্ত মহারাজের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত হল ? তবে এব🍰্যাপারে গ্রেটার নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া পাওয়া ಌযায়নি।