জয়নগরের মোয়া আগেই জিআই তকমা পেয়েছিল। এবার প্রথম এই মোয়া বিদেশে রফতানি হল। একশো বছর ধরে এই মোয়া তৈরি হচ্ছে বাংলার মাটিতে। বুধবার তা বাহারিনের উদ্দেশে রওনা দিল। শীতের মরশুমে এই মোয়া তৈরি হয় প্রত্যন্ত গ্রামে। জানা গিয়েছে, এই জয়নগরের মোয়া যদি বাহারিনের মাটিতে সাফল্য পায় তাহলে ইতালি এবং কানাডার মতো দেশেও তা রফতানির ব্যবস্থা করা হবে।এই বিষয়ে জয়নগর মোয়া নির্মাণকারী সংস্থার সম্পাদক অশোক কুমার কয়াল বলেন, ‘এই প্রথম জয়নগরের মোয়া বিদেশে রফতানি হল। ১৯০৪ সাল থেকে এই মোয়া বানানো শুরু হয়েছিল। সেখানে আমরা ৪৫ কিলো জয়নগরের মোয়া, ১০৫ কিলো পাটালি গুড় রফতানি করেছি।’উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে জিআই তকমা পায় জয়নগরের মোয়া। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরে এই মোয়া তৈরি হয়। সেখানে ২৫টি উৎপাদন ক্ষেত্র রয়েছে। এই মোয়া তৈরি করতে লাগে—কনকচূড় খই, নলেন গুড়, ঘি, খোয়া ক্ষীর, কার্ডামম, রাইসিনস এবং কাজু বাদাম।ইতিমধ্যেই জয়নগরের মোয়া বাজারে ছেয়ে গিয়েছে। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। কলকাতা–সহ গোটা দেশে এই মোয়ার চাহিদা রয়েছে। অশোক কুমার কয়াল বলেন, ‘প্রতিটি মোয়া তৈরি করতে খরচ পড়ে ৩০ টাকা। ছ'টি মোয়া নিয়ে একটি প্যাকেটের দাম দাঁড়ায় ১৫০ টাকা। আর এক কিলো জয়নগরের মোয়ার দাম ৫০০ টাকা।’ ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে যে জিআই জার্নাল প্রকাশিত হয়েছিল তাতে উল্লেখ রয়েছে, ১৯০৪ সালে প্রথম এই মোয়া তৈরি করেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার জয়নগর এলাকার বাসিন্দা আশুতোষ দাস।