ফের তৃণমূলের সভায় বিরিয়ানি নিয়ে বিশৃঙ্খলা। পূর্ব বর্ধমানের পরে পূর্ব মেদিনীপুর। এবার বিরিয়ানির প্যাকেট বিতরণ শুরু হতেই ফাঁকা হয়ে গেল হলঘর। ক্ষোভে মঞ্চ ছাড়ালেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ঘটনা শুভেন্দু অধিকারীর শহর কাঁথির।বুধবার কাঁথির বীরেন্দ্র স্মৃতিসৌধে মহিলা তৃণমূলের তরফে সঙ্গবদ্ধ শপথ গ্রহণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সভায় টিফিন হিসাবে ব্যবস্থা হয়েছিল বিরিয়ানির প্যাকেটের। চন্দ্রিমাদেবী বক্তৃতা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরিয়ানির প্যাকেট বিলি শুরু হয়। আর সেই খবর হলঘরের ভিতরে পৌঁছতেই কয়েক মিনিটের মধ্যে ফাঁকা হয় যায় প্রায় সব আসন।এদিন চন্দ্রিমা সভাস্থলে পৌঁছতেই তাঁকে স্বাগত জানানোর সময় সাময়িক বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। সেই বিশৃঙ্খলা কোনও ক্রমে সামাল দেয় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। কিছুক্ষণ পর বলতে উঠে মনের সুখে কেন্দ্রীয় সরকারের মুন্ডুপাত করছিলেন চন্দ্রিমা। তখনই দর্শকাসনে বাইরে থেকে আসে ‘সুখবর’। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে, বাইরে বিরিয়ানির প্যাকেট বিতরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পর কে শোনে কার কথা! হলঘর থেকে বেরনোর জন্য মহিলা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। বক্তৃতা থামিয়ে চন্দ্রিমা মঞ্চ থেকে তাঁদের শান্ত হতে বলেন। এর পর জেলার নেতারাও মাইক্রোফোন হাতে কাকুতি- মিনতি শুরু করেন। কিন্তু বিরিয়ানির টানকে বাগে আনতে পারেননি তাঁরা।এই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, ‘নীতি আদর্শহীন একটা দল। ওদের কোনও শৃঙ্খলা থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। গরিব মহিলাদের হাতে কয়েকশ’ টাকা আর বিরিয়ানির লোভ দেখিয়ে মিটিংয়ে ভিড় বাড়ায়। এদিনের ঘটনায় ফের তা প্রমাণ হয়ে গেল।’গত বছর ৫ মার্চ বর্ধমান শহরে তৃণমূলের সভায় ঠিক একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভা শেষে বিরিয়ানির প্যাকেট নিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। রীতিমতো লুঠ হয়ে যায় বিরিয়ানির প্যাকেট।