জয়নগরের মোয়া, বর্ধমানের মিহিদানা, কলকাতার রসগোল্লার পর এবার জিআই তকমা পেল পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ। কেন্দ্র এই স্বীকৃতি দেওয়ার পরে বাঘমুন্ডির ৩১ জন ছৌ শিল্পীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেয়। এবার থেকে জিআই ওয়েবসাইটে গিয়ে ৫৬৫ নম্বরে ক্লিক করলেই এই ৩১জন শিল্পীর নাম জানা 🔥যাবে। এর ফলে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প বিশ্বের দরবারে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছবে বলে আশাবাদী শিল্পীরা।
প্রায় দুই শতাব্দী ধরে ꦯপুরুলিয়ার সঙ্গে মিশে গিয়েছে ছৌ নাচ। বাঘমুন্ডি রাজপরিবারের দুর্গাপুজোর প্রতিমা গড়তে এসেছিলেন বর্ধমানের সূত্রধরেরা। তাদের মাধ্যমেই মুখোশের প্রচলন শুরু হয়েছিল। সাধারণত একটি সীমাবদ্ধ ভৌগোলিক ক্ষেত্রে উৎপাদিত বিশেষ ধরনের দ্রব্যের ক্ষেত্রে এই𒆙 জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই ট্যাগ দেওয়া হয়। জিআই তকমা পাওয়ায় খুশি ছৌ শিল্পীরা। এক ছৌ মুখোশ তৈরি শিল্পীর কথায়, ‘আমরা বংশ পরম্পরায় কাজ করে আসছি। সারা বিশ্বে এই শিল্পের একটা নাম রয়েছে। এর জন্য আমরা গর্বিত।’ যদিও রাজ্যের কাছ থেকে ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক ছৌ মুখোশ তৈরি শিল্পী। তাদের বক্তব্য, যারা ছৌ নাচ করে তারা ভাতা পায়। ছৌ মুখোশ তৈরি করেও তারা ভাতা পায় না।
যদিও ছৌ মুখোশ জিআই তকমা পাওয়ার পরেই শিল্পীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। এ বিষয়ে পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণবকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ছৌ মুখোশ তৈরি শিল্পীদের জন্য যে সমস্ত সামাজিক প্রকল্প রয়েছে সেগুলি সুবিধা ওনারা পাচ্ছেন। যদি না পেয়ে থাকে তাহলে তার জন্য ব্যবস্থা করা হব🌜ে। সরকারের তরফে জিআই তকমার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। জিআই তকমা পাওয়ার ফলে এই 🌠শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছেন ছৌ মুখোশ তৈরি তৈরি শিল্পীরা। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক দ্রব্য জিআই তকমা পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দার্জিলিঙের চা, মালদার ফজলি আম, গোবিন্দভোগ চাল, শান্তিপুরের শাড়ি প্রভৃতি।