স্মারকলিপি জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষে শুক্রবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা হিন্দু কলেজ। এদিন দুপক্ষের সংঘর্ষে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে আপাত শান্ত শহর গোবরডাঙায়। এবিভিপির দাবি, সম্প্রতি তাঁদের ২ সমর্থককে কলেজে মারধর করে গোবরডাঙা হিন্দু কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন সমর্থক। এর প্রতিবাদে শুক্রবার কলেজে ও গোবরডাঙা থানায় স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল তাদের। থানায় স্মারকলিপি দিয়ে মিছিল করে কলেজে প্রবেশের সময় তাদের বাধা দেয় TMCP সমর্থকরা। বাধা পেরিয়ে এগোতে গেলে দুপক্ষের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, শুক্রবার কলেজে পরীক্ষা চলছিল। এর মধ্যে মিছিল করে শোরগোল করতে বারণ করা হয় ABVP-কে। কিন্তু সেকথা শোনেনি তারা। কলেজে ঢুকে ABVP সমর্থকরা TMCP সমর্থক ছাড়াও সাধারণ ছাত্রদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এমনকী বাদ যাননি কলেজের কর্মীরাও। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি মোটরসাইকেলও। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় গোবরডাঙা স্টেশনে একটি পথসভা করে তৃণমূল। সেখানে গোবরডাঙা পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধান সুভাষ দত্ত বলেন, যে করেই হোক এই গুন্ডাদের গোবরডাঙায় রুখতে হবে। পালটা বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় ফোনে জানিয়েছেন, গোবরডাঙা হিন্দু কলেজ তৃণমূলের গুন্ডাদের আখড়া হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু গুন্ডাকে কলেজ কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ আমাদের ছেলেরা সেখানে ডেপুটেশন দিতে গেলে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা তাদের ওপর হামলা চালায়। তাতে আমাদের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন। রাতে পুলিশি তল্লাশির নামে আমাদের সমর্থকদের ওপর পুলিশি অত্যাচার হতে পারে বলে খবর পাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র চর্চার পরিসর নেই তা আজ ফের প্রমাণিত হল।