আজ, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন। বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলন্যাস করেন তিনি। প্রশাসনিক পরিষেবা বিলির একদিন আগেই মেদিনীপুরে হেলিকপ্টারে করে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে ছিলেন মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে। আজ বেলা ১১টা নাগাদ এই প্রশ෴াসনিক সভা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। আর মহিলাদের প্রতি তিনি বিশেষ বার্তাও দেন।
চার লাখ লোকের কাছে বৃহস্পতিবার সরকারি পরিষেবা পৌঁছে যাবে। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হলে এই অনুষ্ঠান করা যাবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সবুজসাথীর সাইকেল যাতে পড়ে না থাকে তাই এই সভা করে সেগুলি বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মা–বোনদের আর কোনও চিন্তা নেই। কারণ এখন থেকে কারও কাছে ভিক্ষা করতে হবে না। যতদিন বাঁচবেন লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা পাবেন। বলছে, আধার লিঙ্ক না থাকলে ১০০ দিনের কাজে টাকা দেবে না। গরিব মানুষ কীভাবে আধার লিঙ্ক করবে? বঞ্চনা করছে এবং মিথ্যা বলছে। ১০০ দিনের কাজে গ্রামের মানুষকে আধার লিঙ্ক করতে বলছে অনলাইনে। জীবনটাই অনলাইন করে দিতে চাইছে এরা। সব গ্রামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। অথচ লিঙ𒁏্ক করতে ♛বলছে। বিজেপি নেতাদের কথায় কেন্দ্র আমাদের কোনও টাকা দিচ্ছে না।’
এদিকে রাজ্য বাজেটে সরকারি প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ আরও বড় আকার দেওয়া হয়েছে। এবার থেকಞে ষাটোর্ধ্ব মহিলারাও ☂এই প্রকল্পের আওতায় আসছেন। প্রতি মাসে তাঁরা পাবেন ১০০০ টাকা করে। বাজেটে সেই প্রস্তাব রাখার পরদিনই মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে এই প্রকল্পটির সুবিধা ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তি🌜নি বলেন, ‘আপনাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত। সারা জীবন হাত–খরচটা পাবেন। খাওয়ার কথা ভাবতে হবে না। আপনাদের জন্য ফ্রি রেশন আছে। সন্তানদের পড়াশোনার জন্য আমাদের একাধিক প্রকল্প আছে। বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী আছে। তাই আর ভাবনা নেই। মা–বোনেরা, আপনারা সরকারি সাহায্যটা আজীবন পাবেন।’