পথে নেমে আন💧্দোলনই তাঁর রাজনীতির হাতিয়ার। আর সেই পথ ধরেই নতুন করে আন্দোলন শুরু করতে চলেছেন তিনি। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার পরও তাঁর শক্তিশালীౠ হাতিয়ার পথে নেমে আন্দোলন জারি থাকছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলাকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে ২৯ এবং ৩০ মার্চ দু’দিন ধরে বাবাসাহেব আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ধরনার আগে মঙ্গলবার তিনি সিঙ্গুরের মাটি ছুঁয়ে গেলেন। যা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে টার্নিং পয়েন্ট। ২০০৬ সাল থেকে ২০২৩। সিঙ্গুরে নিয়ে আবারও জমি আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, মঙ্গলবার সিঙ্গুর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে উঠলেন, ‘আমি আজ এলাম এখানে, ধরনার আগে একবার সিঙ্গুরের মাটি ছুঁয়ে গেলাম।’ সিঙ্গুরের আন্দোলন গোটা ভারতবর্ষ দেখেছে। গোটা বিশ্ব শুনেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের কথা। আর সেই জমি ছুঁয়ে বুধবার থেকে ধরনায় বসবেন বাংলার নেত্রী। সুতরাং এবারের আন্দোলন বড় আকার নেবে সেই ইঙ্গিতই দিয়ে গেলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আজ সিঙ্গুরে উদ্বোধন হল বাংলার মানুষের হাঁটার পথ তৈরির কাজ। রাজ্যজুড়ে ১২ হাজার কিমির রাস্তার সংস্কার ও উন্ন🐟য়ন করা হবে। ৪ হাজᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚার কোটি টাকা দিয়ে কাজটা করবে রাজ্য সরকার বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে সিঙ্গুরে রাস্তাশ্রী–প🍸থশ্রী প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই এক খুনের পরিকল্পনার কথা শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সিঙ্গুরে আমি ১৪ দিন ধরনা করেছিলাম। আমার মনে আছে, এখানকার অনেক মাতঙ্গিনী হাজরা, অনেক মা–বোনেরা তখন কেউ নাড়ু নিয়ে যেত, কেউ মুড়ি, পটল আলু নিয়ে আসত আমার জন্য। একদিন ঝড়জলে সব উড়ে গিয়েছিল। আমরা যে কোনও সময়ে মরেই যেতে পার𒁏তাম। একদিন রাতে শুয়ে আছি, একটা লরি𓆉 প্রায় ১০০ জন লোককে চাপা দিয়ে চলে যাচ্ছিল। কী পরিকল্পনা করা হয়নি!’
অন্যদিকে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আজ তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ, রতনপুর এলাকায় তিনি নিজেই ইটের উপর বালি–সিমেন্ট লেপে রাস্তার সূচনা করলেন সিঙ্গুরে। মাটি ছুঁয়ে অঙ্গীকার করলেন, ‘আমি শেষ দেখে ছাড়ব। এই সেই সিঙ্গুর। এখানে জমি ফেরানো নি﷽য়ে ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। জলও খাইনি। তাপসী মালিককে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। তাপসীর নামে আমরা স্তম্ভ তৈরি করছি। কৃষকদের চাষযোগ্য জমি ফিরিয়ে দিয়েছে। তাই ধরনার আগে একবার সিঙ্গুরের মাটি ছুঁয়ে গেলাম।’