‘এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলো তো’—উত্তম–সুচিত্রার সিনেমার বিখ্যাত এই গানের লাইন সকল বাঙালিরই পছন্দের। কিন্তু তার প্রভাব যদি পড়ে রাজনীতির আঙিনায় তাহলে বিষয়টি নিয়ে তো চর্চা হবেই। এবার সাতসকালে বুলেট মোটরবাইকে নিয়ে রাস্তায় অন্য 𒈔মেজাজে ধরা দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। মহালয়া হয়ে গিয়েছে। সুতরাং দুর্গাপুজো আসন্ন। তাই হয়তো ফুরফুরে মেজাজে নিজেকে মেলে ধরলেন। মোটরবাইকে রুদ্ধশ্বাস গতিতে হাসতে হাসতে চালাতে দেখা গেল বহরমপুরের সাংসদকে।
তবে শুধু বুলেট মোটরবাইক চালিয়েছেন বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। রীতিমতো বাইপাসে উঠে স্টান্টও করতে দেখা গেল লোকসভার কংগ্রেস নেতাকে। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক। বহরমপুরের সাংসদ বরাবরই ডাকাবুকো সেটা সবাই জানেন। কিন্তু তিনি যে মোটরবাইকে উঠে স্টান্ট করতে পারেন এটা অনেকের কল্পনাতেও ছিল না। বুলেট মোটরবাইকে রুদ্ধশ্বাস গতি তুললেও অধীর চৌধুরীর মাথায় হেলমেট ছিল না। য൩া নিয়ে চর্চা শুরু করেছেন অনেকে। একজন সাংসদ হয়ে যদি এমন কাজ করেন তাহলে নতুন প্রজন্ম এবং রাজ্যবাসীর কাছে কেমন বার্তা যাবে? এটা দেখে অনেকেই তা করতে চাইবেন। তাছাড়া মাথায় হেলমেট পরবেন না অনেকে। সুতরাং পথ দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হবে।
হঠাৎ এমন ফুরফুরে মেজাজে কেন অধীরের? কংগ্রেস সূত্রে খবর, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মেহেদীপুর থেকে বলরামপুর বহরমপুরের বাইপাস রাস্তার কাজ চলছিল। যা শেষ হতে অনেক সময় লাগছিল। সদ্য এখানে একটি লেনের কাজ শেষ হয়েছে। তাই দুর্গাপুজোর মুখে বহরমপুরবাসীকে নতুন উপহার দিতে শনিবার থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে সেটি। সুতরাং যাতায়াতে একটা মসৃণ ব্যাপার আসতে চলেছে। আর সেই লেনেই এদিন বুলেট নিয়ে দাপিয়ে🤪 বেড়াতে দেখা গেল অধীর চৌধুরীকে। তবে রাস্তাটির এদিন উদ্বোধনও ক🎉রলেন কংগ্রেস সাংসদ। এই রাস্তার ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে যাতায়াত অনেকটাই সুবিধা হবে। নয়া বাইপাস দিয়ে যাতায়াত করলে সময় ও দূরত্ব দুই বাঁচবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পলিউশন সার্টিফিকেট পেতে কী ෴করতে হবে? বড় স🅠িদ্ধান্ত জানাল পরিবহণ দফতর
এই রাস্তা বা নয়া বাইপাস দিয়ে গেলে যানজটে পড়তে হবে না। এদিন হাইওয়ে কর্তাদের উপস্থিততে রাস্তাটির উদ্বোধন করেন বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। তারপর সকাল সাড়ে নিজেই বুলেট মোটরবাইক চালিয়ে রাস্তা পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন তিনি। বলরামপুর থেকে চলে যান সোজা মেহেদীপুর পর্যন্ত। এই রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে। কিন্তু জমি জটে বেশ কয়েকবার কাজ আটকে যায়। ফলে সময় লাগতে শুরু করে। ১০ বছর পর এখন তা খুলল। ভাগীরথী উপর একটা সেতুও তৈরি হয়েছে জাতীয় সড়কের বাইপাসের জন্য। তার উপর আর 🌺পাঁচদিন পর দুর্গাপুজো। ফলে ফুরফুরে মেজাজ থাকায় স্টান্ট দেখালেন কংগ্রেস সাংসদ।