প্রায় ৫০০ বছরের বেশি প্রাচীন কোচবিহারের বড়দেবীর পুজো। রাজ আমলের রীতি মেনে দেবীবাড়িতে পূজিতা হন বড়দেবী। মূর্তি থেকে রীতিনীতি সর্বক্ষেত্রেই জড়িয়🍸ে আছে সেই রাজ আমলের নানা নিয়ম। কথিত আছে রাজ▨ আমলে রাজপ্রতিনিধি মহাষ্টমীতে প্রথমে পুষ্পাঞ্জলি দিতেন। তখন সেই জায়গাটি কাপড়় দিয়ে ঘেরা থাকত। পরে সাধারণ মানুষ সেখানে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সুযোগ পেতেন। এখনও সেই প্রথাকে মান্যতা দেওয়া হয়।
বর্তমানে বড়দেবীর সামনে সবার আগে পুষ্পাঞ্জলি দেন জেলাশাসক। এদিনও সস্ত্রীক জಞেলাশাসক পবন কাদিয়ান সবার প্রথমে পুষ্পাঞ্জলি দেন। রাজপুরোহিত মন্ত্রোচ্চারণ করেন। তারপর সাধারণ মানুষ পুষ্পাঞ্জলি দ🏅েওয়ার সুযোগ পান। এবারও হয়েছে তেমনটাই।
এদিকে মহাষ্টমীতে প্রবল বৃষ্টি হয় কোচবিহারে। সেই বৃষ্টিতে উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় সাধ🌞ারণ বাসিন্দারা জড়ো হন দেবীবাড়ি প্রাঙ্গনে। সেখানে আসেন জেলাশাসক। তিনিই প্রথমে পুষ্পাঞ্জলি দেন। রাজপুরোহিতের সঙ্গে দেবীকে প্রদক্ষিণ করেন তাঁরা। প্রাচীন পুঁথি থেকে মন্ত্রোচ্চারণ করেন রাজপুরোহিত। দেবী দর্শনের জন্য় তখন কাতারে কাতারে ভিড় দেবীবাড়ি প্রাঙ্গনে। রাজপ্রতিনিধি দুয়ারবক্সি অজয় কুমারদেব বক্সিও এদিন পুষ্পাঞ্জলি দেন। তাঁদের পুষ্পাঞ্জলি হওয়ার পরেই সাধারণ মানুষ পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সুযোগ পান। অত্যন্ত ভক্তি ভরে দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন সাধারণ মানুষ।